কলকাতা পুলিশকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

শহরে এবং জেলায় অপরাধ বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে ওপার বাংলা থেকে অনুপ্রবেশ। এখানে আরও একটি বিষয় আছে। সেটি হল—২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন আছে বাংলায়। তাই কলকাতা পুলিশকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক–নেতা–নেত্রী থেকে কাউন্সিলর, সকলের উপরই আক্রমণ নেমে আসছে। আবার তলে তলে নানা ছকও কষা হচ্ছে বাংলায় অশান্তির আবহ তৈরি করার। সে খবর পেয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাই মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়ে দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। আর তা থেকে জানা গেল, কলকাতা পুলিশকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী।

এখানে পুলিশ মন্ত্রী হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আর রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কুমার। তাঁর পরামর্শেই এই গোটা সাজানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। যাতে সিলমোহর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ ডিজি রাজীব কুমার অত্যন্ত দুঁদে অফিসার। আবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছেরও। এমনকী কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে দীর্ঘদিন ছিলেন রাজীব কুমার। সেই সূত্রে তিনি যা জানেন সেই পথে হাঁটলে বাংলার সুরক্ষা–নিরাপত্তা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী এদিন ডিজির প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। লালবাজারের অনেক অফিসার সূত্রে খবর, রাজীব কুমার ফোর্সের প্রতি যতটা আন্তরিক ছিলেন ততটা অন্য কারও কাছ থেকে মেলে না।

যদিও কলকাতা পুলিশের কমিশনার সরাসরি স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট করে থাকেন। তবে গোটা পরিকল্পনা ডিজি রাজীব কুমারের নির্দেশেই হয়। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গে রাজীব কুমার আলোচনা করে এই সংস্কারের প্রস্তাব সাজিয়েছেন। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, এবার কলকাতা পুলিশে নতুন ১২টি ডেপুটি কমিশনার পদ তৈরি করা হচ্ছে। যার মধ্যে পাঁচজনই তদন্তে নেতৃত্ব দেবেন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর রাজীব কুমার কয়েকটি সংস্কার কার্যকর করেছেন। তার মধ্যে আছে—ঘটনার দ্রুত তদন্ত করা, এফআইআর লেখা থেকে ময়নাতদন্ত ঘড়ি ধরে করা, আইনের ধারা মেনে নির্ভুল চার্জশিট তৈরি করা। আর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে, রাজ্য সরকার প্রত্যেকটি জেলায় পুলিশকে সাহায্য করার জন্য আইনি উপদেষ্টা নিয়োগ করছে।

নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সূত্রের খবর, নতুন যে ১২ জন ডেপুটি কমিশনার হবে তাঁরা প্রত্যেকেই নন আইপিএস ক্যাডার অফিসার। কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদ থেকে তাঁরা পদোন্নতি পেয়ে উঠে আসবেন। এই অফিসারদের দিয়ে একদিকে তদন্তও করানো হবে অপরদিকে পুলিশের অন্দরে যে প্রশাসনিক কাজ থাকে সেটাও সামলে দেওয়া যাবে। তাহলে কি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদগুলি খালি থাকবে?‌ এই প্রশ্ন উঠছে। সেক্ষেত্রে নতুনরা সেই শূন্যপদে আসবেন। যাঁরা এখন নীচুস্তরে আছেন তাঁদের উন্নতি হবে। আবার ৫টি ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (নন–আইপিএস) পদ আই ক্যাডারের জন্য এবং ৭টি ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (নন–আইপিএস) পদ এনআই ক্যাডারের জন্য সৃষ্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাতে অনুমোদন দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *