বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন( BGBS-2025)। সেখানে একেবারে চাঁদের হাট। দেশের প্রথিতযশা শিল্পপতিরা এসেছেন। বিদেশ থেকেও এসেছেন উদ্যোগীরা।
সেখানে বক্তব্য রাখলেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি(Mukesh Ambani)।
মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘বাংলা পূণ্যভূমি, স্বামী বিবেকানন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায় থেকে সুভাষ চন্দ্র বসু, সত্যজিৎ রায় থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্য়ায়। বাংলায় নবজাগরণ হয়েছে।
এখন বাংলা অর্থনীতি ও ব্যবসার দিক থেকে নবজাগরণ দেখছে। আমি দেশের পশ্চিম দিক থেকে এসেছি। সাধারণত বলা হয় যে পশ্চিমদিকটা অর্থনীতি আর ব্যবসার জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এবার গ্লোবাল সামিটটা দেখুন। কী অপূর্ব সামিট। মমতাদিদি আপনাকে আন্তরিক ধন্য়বাদ। আমি প্রতিবার এখানে আসি। ২০১৬ থেকে আসছি।… ধারাবাহিকভাবে এই সামিট আরও বড় হচ্ছে। আজ বাংলা মানে উচ্চকাঙ্খা, দক্ষতা। মমতাদিদির আওতায় বাংলা মানে বিজনেস। মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দেন সেটাই করে দেখান তাঁর টিম। যেমন সৌরভ বলছিলেন। এটাই হলমার্ক একজন বড় নেতার। ‘
‘ আপনার নাম মমতা মানে মায়া, স্নেহ। দিদি আপনার নামের মানে ক্লান্তহীন নেতৃত্ব।’
‘৬৪ হাজার স্টেপ প্রতিদিন হাঁটেন রোজ। এটাই হল তাঁর এনার্জি।’
‘মায়ের মুখ স্বর্গসুখ, দিদির কবিতা। এটা বাংলার সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।’
‘আপনার নেতৃত্বকে ধন্য়বাদ মমতাদিদি। এটাই সবথেকে ভালো সময় বাংলায় বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে। বাংলার অবস্থান, দ্রুত বদলে যাওয়া পরিকাঠামো, এর সবথেকে বড় সম্পদ হল অত্যন্ত দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ, কঠোর পরিশ্রমী মানুষ এখানে থাকেন।
সুপার ইন্টেলিজেন্ট মানুষ এখানে থাকেন। বিশ্বের কোনও শক্তি বাংলার অগ্রগতিকে আটকাতে পারবে না। ২০১৬ সালে প্রথমবার সামিটে রিলায়েন্সের বিনিয়োগ ছিল ২ হাজার কোটির নীচে।
আজ বাংলায় ২০ গুণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছি।
৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি বাংলায়। বাংলায় বিনিয়োগ আরও দ্বিগুণ করব এই দশকের শেষের মধ্য়ে। ১ লাখ সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।’
৫টি বিষয়ের উপর জোর দেন তিনি।
১) ডিজিটাল পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা হবে। জিও আজ আর নম্বর ১ ডেটা কোম্পানি নয়, এটা বিশ্বের ১ নম্বর ডেটা কোম্পানি। আর তার যাত্রা শুরু হয়েছিল এই কলকাতা থেকে। কলকাতায় জিও নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ সংখ্য়া দেশের মধ্য়ে। জিও গ্রামীণ বাংলাতেও যাচ্ছে। জিওর বিশেষ প্রকল্প হবে। এআই আজ অপরিহার্য।
ডেটা সেন্টার হবে বাংলায়। আগামী ৯ মাসের মধ্য়ে এটা বাস্তবায়িত হবে। বিদেশে চলে যাওয়া প্রতিভাবানরাও ফিরে আসবেন এবার।
২) নতুন কমার্স সেন্টার করা হবে।
৩) বাংলার স্বদেশ প্রকল্প চালুর কথা জানান। এবার বাংলার জামদানি, বালুচরী, কাঁথা শাড়ি, খাদির সামগ্রী গোটা বিশ্বে বিক্রি হবে। বিশ্ববাংলা সহ নানা ধরনের সামগ্রী গোটা বিশ্বে বিক্রির কথা জানান।
৪) সোনার বাংলার জন্য সোলার বাংলা এনার্জি সেন্টার করা হবে।মূলত সৌর প্রকল্পের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেন মুকেশ আম্বানি।
৫) কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন মুকেশ আম্বানি।
তিনি বলেন, বাংলায় আমাদের বিনিয়োগ কেবলমাত্র ব্যবসায়ীক কারণে নয়, এখানে আমার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। যাঁরা এখানে রয়েছেন বা নেই তাঁদের বলছি রিলায়েন্সের এখানে ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। দিদি এখানে রেড কার্পেট দিয়ে অভ্যর্থনা করেন। আসুন বাংলায় আর লিখুন একটা ভালো অধ্য়ায়। আমি মমতাদিদিকে নিশ্চিত করছি আমরা আপনাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হব।
আপনার বাংলা, আমাদের বাংলা। ‘