বাবা-মায়ের মতো টেনিস নয়! অন্য খেলায় নামছেন আগাসি-স্টেফিপুত্র জাডেন!

Spread the love

আন্দ্রে আগাসি আর স্টেফি গ্রাফের নামটা কানে আসলেই মনে পরে যায় ১৯৯০র শেষ আর ২০০০র শুরুর দিকের স্মৃতিগুলো। আগাসির টেনিসের পাশাপাশি স্টেফি গ্রামের রূপের কথাও চোখে ভাসে সকলের। বিশ্ব টেনিসের এই দুই তারকাই পরবর্তী সময় দাম্পত্য জীবনে জুটি বেঁধেছিলেন। তাঁদেরই সন্তান জাডেন গিল আগাসি। 

স্টেফি-আগাসিপুত্র এবার বেসবলে

স্টেফি গ্রাফ এবং আগাসির সন্তান জাডেন এবার জার্মানির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছেন ওয়ার্ল্ড বেসবল ক্লাসিক কোয়ালিফায়ারে। মার্চ মাসে তা অনুষ্ঠিত হবে আরিজোনায়। বাবা-মায়ের মতো টেনিস নয়, জাডেনের পছন্দ বেসবল। এমএলবি ড্রাফট লিগসহ ইউএসসিতেও খেলেছেন তিনি। স্টেফি গ্রাফ জার্মান হওয়ায়, তাঁর ছেলে জাডেন জার্মানির হয়ে খেলেন। যদি তাঁর দেশ মূলপর্বে কোয়ালিফাই করে তাহেল ২০২৬র মূল প্রতিযোগিতাতেও খেলবেন আগাসি পুত্র।

৩০টির বেশি গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন আগাসি-স্টেফি

নিজেদের বর্ণময় কেরিয়ারে আন্দ্রে আগাসি এবং স্টেফি গ্রাফ জিতেছেন ৩০টি গ্র্যান্ডস্লামের শিরোপা। কিন্তু পুত্র জাডেনের আবার টেনিসে তেমন মোহ নেই, ধ্যান জ্ঞান বলতে বেসবল। জাডেন সম্প্রতি বলেছেন, ‘ আগাসি নামটা খুবই টেনিসের সঙ্গে যায়। কিন্তু আমি চাইব এই নামটা বেসবলেও যেন সকলে জেনে যায়। আমার স্কুল লাইফ থেকেই এই খেলা খেলছি, সেখানে কোচরা আমার খেলা দেখে পছন্দ করেছিল। এরপর আমার মনে হয়েছিল যে এই খেলায় আমার ভবিষ্যৎ রয়েছে’।

এমনিতে বেসবল কেরিয়ারে শুরু থেকেই জাডেন আগাসি নজর কাড়েন, তবে তাঁর পথ ছিল বেশ দুর্গম। বিশেষ করে চোটের জন্য। ২০১৯ সালে হাতে চোট লাগে তাঁর, এরপর কোভিডের সময় তিনি খেলতে পারেননি। ফলে অন্যদের থেকে পিছিয়ে যান। এপর ২০২১ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত ইউএসসিতে বেসবল খেলেন তিনি। মাত্র ৬ বছর বয়স থেকেই এই খেলা খেলছেন তিনি।

বাবাকে টপকে যেতে চান জাডেন-

জাডেন বলছেন, ‘আমি বেসবল খেলতে ভালোবাসি। আমি টেনিসও শুরুর দিকে খুব খেলতাম। কিন্তু আমার জন্য খুব কঠিনই ছিল বলকে লাইনের মধ্যে রাখা। আমি সব সময়ই চাইতাম যত দূর সম্ভব বল মারতে, তাই বেসবল শুরু থেকেই আমার খুব প্রিয়। আমাকে বাবাকে টপকে যেতে হবে। অনেক বছর আগে বাবা একবার বিজ্ঞাপনে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছিল। ব্যাকহ্যান্ডে শট খেলেছিল। আমার মনে হয় ধৈর্য্যর দিক থেকে আমি আমার মায়ের মতো তৈরি হয়েছিল। সব সময়ই আমি চাই হিমশীতল মানসিকতা এবং ধৈর্য্য ধরে রাখতে। পিচে আমার মাইডসেটই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *