Rift between Musk and Trump’s Core team। ইলন মাস্কে বিরক্ত হোয়াইট হাউজের ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ শীর্ষ আধিকারিক

Spread the love

ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার পর থেকেই মার্কিন এবং বিশ্ব মিডিয়ায় ইলন মাস্কের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এরই মাঝে আবার মাস্ককে ‘DOGE’-র প্রধান করেছিলেন ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে এই পদে ছিলেন বিবেক রামাস্বামীও। তবে মাস্কের সঙ্গে বিরোধের জেরে নাকি রামাস্বামী পদত্যাগ করেন সেই পদ থেকে। এরই মাঝে মার্কিন সরকারের খরচ কমাতে একাধিক পদক্ষেপ করছে। তবে সরকারি ভাবে কোনও পদক্ষেপ করার এক্তিয়ার নেই মাস্কের ‘DOGE’-এর। এই আবহে মাস্কের সঙ্গে আরও সমন্বয় বৃদ্ধি করতে চাইছেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা। এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হল, ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ ৪ জন দাবি করেছেন, শীর্ষ মার্কিন আধিকারিকদের অনেকেই মাস্কের ওপর বিরক্ত।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ সুসি উইলস এবং তাঁর দল মাঝে মাঝেই মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অফ গভার্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতেই পারে না। উল্লেখ্য, মাস্কের দফতর হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করেছে। সরকারের সংবেদনশীল ডেটা অ্যাক্সেস করেছে। এই সব বিষয়ে উইলস এবং হোয়াইট হাউজের আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্প্রতি এই নিয়ে মাস্কের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই আবহে সম্প্রতি হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এদিকে মাস্কের সঙ্গে হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তাদের এই চোরাস্রোতের জেরে ট্রাম্পের জন্য পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে।

এরই মাঝে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কংগ্রেসনাল কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে মাস্কের দফতর। এর জেরে একাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছে তারা। এর মাঝেও ট্রাম্প নিজের অর্থ সাহায্যকারী এবং সহযোগীদের কাছে মাস্ককে নিয়ে ইতিবাচক ভাবেই কথা বলে চলেছেন। এদিকে রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নিয়ে ইলন মাস্ক কিংবা হোয়াইট হাউজ আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এদিকে এক সরকারি আধিকারিক দাবি করেন, প্রাথমিক ভাবে পথ চলা শুরু হতে কিছুটা হোঁচট খেতে হয়েছিল তবে এখন সব মসৃণ ভাবে চলছে। দাবি করা হচ্ছে, এখন প্রতিদিন দিনের শেষে উইলসকে রিপোর্ট পাঠান মাস্ক। এবং প্রায় প্রতিদিনই উইলসের সঙ্গে ফোনে কথা হয় মার্কিন ধনকুবেরের। এদিকে সম্প্রতি আবার মাস্কের ক্ষমতা বাড়িয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। তাতে বলা হয়েছে, সব ফেডারেল দফতরকেই কর্মী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে মাস্কের ‘DOGE’-এর সাথে মিলে কাজ করতে হবে। এর জন্যে মাস্কের দফতর সব ফেজারেল দফতরে একজন করে ‘টিম লিড’ নিয়োগ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *