একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। ৫০ বছর বয়সি এক স্কুল শিক্ষক অটল সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে খবর। নবি মুম্বইয়ের আলিবাগ এলাকায় তিনি অটল সেতু থেকে ঝাঁপ দেন। লোন অ্য়াপ কোম্পানি থেকে তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাতেই তিতিবিরক্ত হয়ে তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নেন।
সূত্রের খবর, ওই শিক্ষক ১২,০০০ টাকা বকেয়া লোন মেটাতে পারছিলেন না। এরপর থেকেই তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছিল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই লোন সংস্থার এজেন্ট তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করছিল বলে অভিযোগ। তারা ওই ব্যক্তির ভুয়ো নগ্ন ছবি বিভিন্ন হোয়াটস অ্য়াপ গ্রুপে ছড়িয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এমনটাই জানতে পেরেছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই শিক্ষকের পরিবার জানিয়েছে, গত মাসে ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপের মাধ্যমে তিনি লোন নিয়েছিলেন। এমনকী গ্রামের অনেকের কাছ থেকেই তিনি ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ধার মেটাতে পারছিলেন না। এরপরই লোন কোম্পানি থেকে তাকে ফোন করে নানাভাবে হেনস্থা করছিল। এর জেরে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তার সম্মানহানির সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই শিক্ষক অভিযোগ দায়ের করার জন্য় থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু স্কুলে তার সম্মানহানি হতে পারে বলে তিনি আতঙ্কিত ছিলেন।
এদিকে গোটা ঘটনা সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে। তিনি গাড়ি নিয়ে অটল সেতুতে গিয়েছিলেন। এরপর গাড়ি থেকে নেমেই তিনি ঝাঁপ দেন।
সিসি ক্যামেরায় গোটা ঘটনা ধরা পড়ে। ঘটনার কথা জানতে পেরেই পুলিশ এলাকায় যায়। পুলিশ মৎস্যজীবীদের সহায়তায় দেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে তাঁকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যারা লোনের টাকা মেটানোর জন্য চাপ দিতে তার নগ্ন ছবি তৈরি করেছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো জন্য পরিবারকে বলা হয়েছে। পরিবার এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারে।
ওই লোন অ্যাপ কোম্পানির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন তাকে এভাবে ভয় দেখানো হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মনে করা হচ্ছে ওই শিক্ষক মানসিকভাবে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন। তাকে বার বার হেনস্থা করা হচ্ছিল। এটা তিনি কিছুতেই মানতে পারছিলেন না। তার জেরেই কি তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য় হলেন? সেই প্রশ্ন এবার উঠতে শুরু করেছে।