Udaan Yatri Cafe Menu Card। চেন্নাইতে তামিল প্রাধান্য পেলেও কলকাতায় ‘দ্বিতীয়’ বাংলা

Spread the love

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগের মধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দরে ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’র মেনু কার্ড ফের ভাষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কলকাতার পর কেন্দ্রীয় অসামরিক পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু চেন্নাই বিমানবন্দরে উদ্বোধন করেছেন ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং আরও বেশি পরিমাণ যাত্রীকে বিমানবন্দরমুখী করার প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দেশের দুই শহরের দুই ‘উড়ান ক্যাফে’র মেনু কার্ডে দেখা গেল ‘বৈষম্য’।

বিমানবন্দরে আসা সমস্ত যাত্রীদের জন্য সস্তায় ভালো মানের খাবারের ব্যবস্থাই হল উড়ান যাত্রী ক্যাফে। এতে যাত্রীদের সুবিধা হবে বলেই মনে করেছে এয়ারপোর্ট অথরিটি। এর আগে প্রথম উড়ান যাত্রী ক্যাফে উদ্বোধন হয়েছিল কলকাতায় এয়ারপোর্টে গত বছর ডিসেম্বরে। এই ক্যাফে অল্পদিনের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল। সেই জনপ্রিয়তা এবং লাভজনক ব্যবসার কথা মাথায় রেখেই এখন আরও অন্যান্য এয়ারপোর্টে এই ক্যাফে খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। যাত্রীদের দাবির কথা মাথায় রেখে ভারতবর্ষের অন্যান্য আরও অনেক এয়ারপোর্টে এই ক্যাফে চালু করা হচ্ছে।

এদিকে, কলকাতার পর চেন্নাই বিমানবন্দরে এই ক্যাফে উদ্বোধনের জন্য কেন্দ্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা।কিন্তু এক্স-এ তাঁর চেন্নাই ও কলকাতা বিমাবন্দরে ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’র মেনু কার্ডের ছবি পোস্টে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আসলে চেন্নাই বিমানবন্দরের ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’র মেনু কার্ডের ছবিতে দেখা গেছে, প্রথমেই তামিল ভাষা প্রাধান্য পেয়েছে। মেনু কার্ডে প্রথমে তামিল ভাষায় ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’ লেখা হয়েছে। এরপরে যথাক্রমে হিন্দি এবং ইংরেজিতে তা লেখা রয়েছে।

কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দরে নীল রংয়ের মেনু কার্ডের প্রথমে বাংলা ভাষা প্রাধান্য পায়নি।ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমেই হিন্দিতে লেখা হয়েছে ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’। তার ঠিক নিচে বাঁ দিকে বাংলায় এবং ডান দিকে ইংরেজিতে ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’ লেখা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএনআই-এর পোস্ট করা ছবিতেই তা দেখা গিয়েছে। যদিও হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে এএনআই-তে পোস্ট হওয়া ছবির ভিত্তিতেই ফের এরবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হিন্দি আগ্রাসন ইস্যুতে প্রশ্ন উঠছে।

তবে শুধু বিমানবন্দর নয় কলকাতায় মেট্রোয় সচেতনতা প্রচারের বাংলা ভাষা দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হচ্ছে যাত্রীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি প্রকাশ পেতেই অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কেমন বাংলা? বারবার মেট্রোয় কেন বাংলা ভাষার উপর নানাভাবে আঘাত নেমে আসে?বিনা টিকিটের যাত্রী রুখতে প্রচারে মেট্রো স্টেশনে লেখা রয়েছে, ‘বিশাল টিকিট পরীক্ষা অভিযান চলছে। বিব্রত ও লজ্জিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে সর্বদা মেট্রোতে সঠিক টিকিট নিয়ে চড়ুন।’ এমন বাংলা ভাষা দেখেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, ‘বিশাল টিকিট পরীক্ষা অভিযান’ এটা কেমন বাংলা লেখা? এই প্রথম নয়, এর আগেও কলকাতা মেট্রোয় বাংলা ভাষার অদ্ভুত ব্যবহার হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *