গ্লেন ফিলিপসের অতিমানবীয় ক্যাচে আউট হয়ে গিয়েছেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। আর সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম সংস্থা ‘ফিলিপিস’-র বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করলেন নেটিজেনদের একাংশ। যাঁরা নিজেদের বিরাটের ভক্ত বলে দাবি করেছেন। কেউ-কেউ তো সরাসরি ‘ফিলিপিস’-কে নিউজিল্যান্ডের তারকা ভেবে কটূ কথা বলেছেন। কেউ-কেউ তো আবার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর সেইসব কাণ্ড-কারখানা দেখে খুন হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁরা বোঝাতে শুরু করে দেন যে এটা আদতে নিউজিল্যান্ডের তারকা ফিলিপসের পোস্ট নয়, এটা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম সংস্থা ‘ফিলিপিস’-র পোস্ট। তাতে অবশ্য লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং সেই ধারা অব্যাহত থাকে।
‘কোহলি তোর বাবা’, পোস্টে করা হল কমেন্ট
আর সেটার সূত্রপাত হয় রবিবার দুপুর থেকে। ফিলিপসের অবিশ্বাস্য ক্যাচে ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে বাধ্য হন বিরাট। তারপরই ইনস্টাগ্রামে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম সংস্থা ‘ফিলিপিস’-র পোস্টে এক নেটিজেন বলেন, ‘কোহলিকে কেন আউট করলে?’ অপর এক তো আবার কয়েক কাঠি উপরে গিয়ে নেটিজেন বলেন, ‘কোহলি তোর বাবা।’ একজন আবার বলেন, ‘ফাইনালে দেখা হোক। বিরাট ফিলিপিসের ক্যাচ নেবে।’
একইসুরে অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘খুব বেশি হাওয়ায় উড়ছিস।’ কয়েকজন তো আবার মাঠে বিরাটের আগ্রাসনের বিভিন্ন ইমোজি পোস্ট করে দেন। এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘বিরাট কোহলির সঙ্গে পাঙ্গা নেবেন না। তাহলে ফল ভালো হবে না।’
‘ভাই, এটা ওই ফিলিপস নয়’, বললেন অনেকে
শুধু একটিতে নয়, গত কয়েকদিনে ধরে ইনস্টাগ্রামে ফিলিপসের তরফে যা যা পোস্ট করা হয়েছে, তার মোটামুটি সবেতেই ওরকম মন্তব্য করা হয়েছে। যা দেখে এক নেটিজেন বলেন, ‘ভাই, এটা ওই ফিলিপস নয়।’ অপর একজন আবার পুরো ঘটনায় হাসতে-হাসতে খুন হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘কোনও কোম্পানি যতই নিজের কর্মচারীদের বিভিন্ন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ট্রেনিং দিক না কেন, এরকম অবস্থায় পড়তে হবে বলে কোনওদিনই কেউ ভাববে না।’ একইসুরে একজন বলেন, ‘এটা অন্য ফিলিপসের অ্যাকাউন্টে এসে গিয়েছিস।’
ফিলিপসের ক্যাচটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়
আর সেইসবের মধ্যেই প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেটে ২৪৯ রান তুলেছে ভারত। সর্বোচ্চ ৯৮ বলে ৭৯ রান করেন শ্রেয়স আইয়ার। হার্দিক পান্ডিয়া করেন ৪৫ রান। অক্ষর প্যাটেল ৪২ রান করেন। আর ভারত যে ২৫০ রানও তুলতে পারেনি, সেটার নেপথ্যে ফিলিপসের (কিউয়ি তারকা অবশ্যই) বড় অবদান আছে।
কারণ শুভমন গিল এবং রোহিত শর্মা আউট হয়ে গেলেও বিরাট নিজের ছন্দে খেলছিলেন। কিন্তু তিনি ১১ রান করে আউট হয়ে যাওয়ায় প্রবল চাপে পড়ে যায় ভারতীয় দল। অক্ষর প্যাটেল এবং শ্রেয়স আইয়ারদের ঝুঁকি এড়িয়ে খেলতে হচ্ছিল। দীর্ঘক্ষণ কোনও বাউন্ডারি আসেনি। রানও আসছিল না। বিরাট থাকলে কয়েকটা তো এক রান ঠিক বের করে নিতেন। কিন্তু সেটা না হওয়ায় ভারতের উপরে চাপ বাড়তে থাকে। যে চাপটা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে থেমে যেতে হয় ২৪৯ রানেই।