Behala Father-Daughter Death Latest Update: বেহালাকাণ্ডে সামনে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট

Spread the love

বেহালায় সম্প্রতি মেয়ের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বজন দাস। সেই ঘটনায় এবার সামনে এল ময়াতদন্তের রিপোর্ট। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, স্বজন প্রথমে নিজের মেয়ের গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন। তারপর সেই দড়িতেই নিজের গলায় ফাঁস দেন। এমন ভাবে তিনি কাজটা করেছিলেন, যাতে একে অপরের দেহের ভারে মারা যান। উল্লেখ্য, স্বজনের ২২ বছর বয়সি মেয়ে সৃজা দাস অটিজিমে আক্রান্ত ছিলেন। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ।

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল স্বজন এবং সৃজার দেহ। অফিসে পাখার হুক থেকে নাইলনের দড়ির সঙ্গে ঝুলছিলেন বাবা এবং মেয়ে। স্বজনের স্ত্রীকে জেরা করে পুলিশ। এদিকে প্রতিবেশীদেরও জেরা করা হয়। এই আবহে পুলিশ জানতে পারে, ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টা নাগাদ মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন স্বজন। সোয়া ১টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে স্ত্রীকে ফোন করে তা জানান স্বজন। এর কয়েক ঘণ্টা পরে স্ত্রী স্বজনকে ফোন করেন। তবে কেউ ফোন তোলেনি। সন্ধ্যা হয়ে গেলে চিন্তিত হয়ে পড়েন জলি। তিনি রঞ্জিৎকুমার সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তিনি বাড়িতে এসে অফিসে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাবা ও মেয়েকে। এদিকে দাবি করা হয়েছে, ওই ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল না। পরে গভীর রাতে পুলিশ মৃতদেহ দু’টি ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়। তারপর তা ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছিল। 

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়, কন্যার শারীরিক পরিস্থিতি এবং চিকিৎসার খরচের কথা ভেবেই অবসাদে ভুগছিলেন সজন। উল্লেখ্য, সৃজা জন্ম থেকেই অটিজমে আক্রান্ত ছিলেন। এই আবহে তাঁর চিকিৎসার চলত বছর ভর। বেহালার ঘটনার নেপথ্যে কারণ আর্থিক সমস্যা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে স্বজনের আত্মীয় এবং স্ত্রী জলিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়েকে অন্যত্র রেখে আসা নিয়ে কথা হয়েছিল পরিবারে। সৃজা নাকি একদিন তাঁর মাকে কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি হয়েছিল। অপরদিকে সম্প্রতি বৌদির চিকিৎসার জন্যে মেয়ে সৃজাকে নিয়ে ভেলোরে গিয়েছিলেন স্বজন। কিন্তু সম্প্রতি স্বজনের বৌদির মৃত্যু হয়। স্ত্রী জলির দাবি, এরপরে স্বজন আরও মনমরা হয়ে পড়েছিলেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ট্যাংরায় বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই পরিবারের বাকি তিন সদস্য বাইপাসের ধারে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। সেই ঘটনার ছায়া দেখা যাচ্ছে বেহালার ঘটনায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *