অন্যতম কট্টর মাওবাদী কমান্ডার হিসেবে পরিচিত। তার একাধিক হামলায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১০০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৮ লক্ষ টাকা। ছত্তিশগড়ের মোস্ট ওয়ান্টেড সেই মাওবাদী কমান্ডার দীনেশ মোদিয়াম সস্ত্রীক আত্মসমর্পণ করল। ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে দীনেশ। বিজাপুরের সবচেয়ে হিংস্র নকশাল কমান্ডার হিসেবেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের গঙ্গালুর কমিটির সম্পাদক ছিল দীনেশ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গঙ্গালুর কমিটি মাওবাদীদের এমন একটি ইউনিট; যা গ্রামবাসী, কর্তব্যরত অবস্থায় না থাকা পুলিশ এবং সহকর্মীদের নৃশংস হত্যার জন্য পরিচিত। একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, দীনেশের স্ত্রী কালা তাতিও মাওবাদীর এরিয়া কমিটির সদস্য ছিল। তারা দুজনে সন্তানকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সহকর্মীদের কাছ থেকে খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করছিল এই মাওবাদী দম্পতি। সেই কারণে তারা আত্মসমর্পণ করেছে। একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণের ফলে এখন সংগঠনটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। আর নিয়ন্ত্রণের অভাবে এর ক্যাডাররা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। সে জানিয়েছে, দীনেশের রক্তাক্ত অতীত তাকে এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে। সে ভয় পাচ্ছে যে তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে হত্যা করতে পারে। দীনেশের আত্মসমর্পণকে মাওবাদীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন পুলিশ অফিসাররা।
এদিকে, গত কয়েক মাস ধরেই ছত্তিশগড়ে মাওবাদী-বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ছত্তিশগড়ের ধামতারি জেলায় অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার মান্দাগিরি গ্রামের জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে দুই থেকে তিনজন মাওবাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে ২৫-৩০ জন নিরাপত্তাবাহিনীর একটি দল মাওবাদী-বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। এই অভিযানের সময় মান্দাগিরির জঙ্গল এবং পাহাড়ে বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের আধ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। প্রথমে সশস্ত্র মাওবাদীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে বাহিনীর উপর গুলি চালায়। পালটা জবাবে বাহিনী গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের উপর গুলি চালায়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণ হয়।