রাজ্যে ভুয়ো ভোটার ধরতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ময়দানে নেমেছেন তৃণমূল নেতা – কর্মীরা। আর তখনই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বার বার ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ উঠছে। এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নাম ধরা পড়ল ২ জায়গার ভোটার তালিকায়। যা নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়েছে নদিয়ায়। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার তৃণমূলের বিরুদ্ধেই পালটা ভুয়ো ভোটার তৈরির অভিযোগ এনেছেন।
নদিয়ার কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেফালি খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নাম রয়েছে ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে। নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি তাঁর নাম রয়েছে কালীগঞ্জের ভোটার তালিকায়। ২ জায়গার ভোটার তালিকার ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর পরই তৎপর হয় প্রশাসন। নাকাশিপাড়া থেকে তাঁর নাম কাটতে শুরু হয় উদ্যোগ।
শেফালির দাবি, ‘বিয়ের আগে তিনি নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের পালিতবেঘিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ছিলাম। বিয়ের পর কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের দেবগ্রামের বাসিন্দা হয়েছি। ভোটার তালিকায় নামও তুলেছি। পুরনো কেন্দ্রে নাম কেটে যাওয়ার কথা। কিন্তু কেন যায়নি জানি না। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা নাকাশিপাড়া থেকে আমার নাম কাটার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। আশা করি এতদিনে সমস্যা মিটে গিয়েছে।’
তবে শেফালি খাতুনের ব্যাখ্যা মানতে নারাজ বিজেপি। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, তৃণমূলই ভুয়ো ভোটার তৈরির কারিগর। সাধারণ কোনও কর্মী হলে তবু মেনে নিতাম, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নাম ২ জায়গার ভোটার লিস্টে থাকে কী করে? কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে এরকম কাজ করা যায়?