গত বছর থেকেই ঐশ্বর্য-অভিষেকের ডিভোর্স চর্চা ছিল তুঙ্গে। কেউ বলেছেন অভিষেক-ঐশ্বর্যর মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে পড়েছেন। কেউ বলেছেন শাশুড়ি জয়ার সঙ্গে রাই সুন্দরীর সম্পর্ক ভালো না। আবার কারোর কথায়, ননদের কারণেই শ্বশুরবাড়ি থেকে আলাদা থাকছেন ঐশ্বর্য। সম্পত্তি নিয়ে নাকি ঝগড়া?
যদিও নিন্দুকেদের মুখে ছাই ঢেলে গত বছরের শেষে আরাধ্যা বচ্চনের স্কুলের বার্ষিক ঐশ্বর্যর সঙ্গেই পৌঁছেছিলেন অভিতাভ-অভিষেক। তারপর আবার সপরিবারে ঘুরতেও গিয়েছিলেন তাঁরা। আর এবার পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের ছেলের বিয়েতে একসঙ্গেই পৌঁছলেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। সেখানে আবার তাঁদের পোশাকেও ছিল রং মিলান্তি।
অভিষের পরেছিলেন আইভরি রঙের গলাবন্ধ। আর ঐশ্বর্য ওই রঙেরই আনারকলি ড্রেস পরেছিলেন। ইসকনেক মহারাজ হরিনাম দাসের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল তাঁদের। হাসিমুখেই কথা বলছিলেন ঐশ্বর্য। আবার অভিষেককে মহারাজের সামনে হাতজোর করতে দেখা গেল। সুন্দর এই মুহূর্তটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা যাচ্ছে বৃন্দাবন মন্দিরে যাওয়ার আমন্ত্রণও পেয়েছেন এই দম্পতি।
শুধু তাই নয়। বিয়েবাড়িতে নতুন বর-কনে কোনার্ক গোয়ারিকর ও নিয়তি কানাকিয়ার সহ অন্যান্য আরও অনেকের সঙ্গেই পোজ দিতে দেখা যায় ঐশ্বর্য-অভিষেককে।
এদিকে অভিষেক-ঐশ্বর্যকে একসঙ্গে দেখে নেটপাড়ায় কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘অবশেষে এরাঁ এক হলেন।’ কেউ লিখেছেন, ‘যাক, ঝগড়া মিটেছে তাহলে!’ একজন কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘কারা যেন বলছিলেন ওদের ডিভোর্স হবে! কেউ কেউ তো অভিষেকের দ্বিতীয় বিয়ের কথাও ভেবে ফেললেন!’
প্রসঙ্গত ২০০৭ এর ২০ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। দীর্ঘ ১৮ বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের। রয়েছে এক মেয়ে। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর জন্ম হয় আরাধ্যার।
আশুতোষের ছেলে কোনার্ক ও নিয়তি ২ মার্চ একান্ত পরিবারের ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে গাঁটছড়া বাঁধেন। ৩ মার্চ ছিল তাঁদের রিসেপশন। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ঐশ্বর্য-অভিষেক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খোদ কিং খান শাহরুখ। ছিলেন আমির খান, কিরণ রাও, গায়ত্রী ওবেরয়, জেনেলিয়া ডি’সুজা, রীতেশ দেশমুখ, বিদ্যা বালান এবং সিদ্ধার্থ রায় কাপুর, সোনালি বেন্দ্রে, পূজা হেগড়ে ও চাঙ্কি পাণ্ডে সহ আরও অনেকেই।