আবারও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় পুরোপুরি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৮ মার্চ (শনিবার) এবং ৯ মার্চ (রবিবার) ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পুরো অংশেই পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আপাতত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের একদিকে শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ অংশে (গ্রিন লাইন-১) পর্যন্ত পরিষেবা চালু আছে। অন্যদিকে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে (গ্রিন লাইন-২) পরিষেবা মেলে। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদার মধ্যে যে ২.৫ কিলোমিটার ‘মিসিং লিঙ্ক’ আছে, সেটা যুক্ত করার ওই দু’দিন গ্রিন লাইন-১ এবং গ্রিন লাইন ২-তে কোনও পরিষেবা মিলবে না। শুধু তাই নয়, শুক্রবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যা এবং আগামী ১০ মার্চ (সোমবার) সকালেও কিছুটা ব্যাহত হবে পরিষেবা। শুক্রবার শেষ মেট্রোর সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। আর সোমবার কিছুটা দেরিতে শুরু হবে পরিষেবা।
শুক্রবার শিয়ালদা-সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী শেষ মেট্রোর সময়
১) শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ: সন্ধ্যা ৭ টা ৩ মিনিট (রাত ৯ টা ৩৫ মিনিটের পরিবর্তে)।
২) সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা: সন্ধ্যা ৭ টা ৫ মিনিট (রাত ৯ টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে)।
শুক্রবার এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দানগামী শেষ মেট্রোর সময়
কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দানগামী শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে সন্ধ্যা ৭ টায়। যা সাধারণত রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ে।
সোমবার শিয়ালদা-সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী প্রথম মেট্রোর সময়
১) শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ: সকাল ৮ টা ১৫ মিনিট (সকাল ৭ টা ৫ মিনিটের পরিবর্তে)।
২) সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা: সকাল ৮ টা ৫ মিনিট (সকাল ৬ টা ৫৫ মিনিটের পরিবর্তে)।
সোমবার এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দানগামী প্রথম মেট্রোর সময়
কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণত সোমবার সকাল ৭ টায় এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দানগামী মেট্রো ছাড়ে। আগামী ১০ মার্চ প্রথম পরিষেবা মিলবে সকাল আটটায়।
আর সেইসব পদক্ষেপ করা হয়েছে, যাতে শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে অংশে দ্রুত বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করা যায়। একই লক্ষ্যে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিষেবা বন্ধ ছিল। এবার সরকারিভাবে কোনও কারণ দর্শানো না হলেও সূত্রের খবর, কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির (সিআরএস) পরীক্ষার মুখে বসার আগে শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে পরিদর্শন চালানো হচ্ছে। যা মেট্রো কর্তৃপক্ষ নিজেই চালাচ্ছে। অর্থাৎ আগে নিজেরা নিজেদের পরীক্ষা নিচ্ছে। তারপর সিআরএসের পরীক্ষার জন্য আবেদন করবে।