চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-র প্রথম সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমির লড়াইয়ে চার উইকেটে ম্যাচ জিতেছে ভারত। ম্যাচের উইনিংস ছক্কাটা হাঁকিয়ছিলেন কেএল রাহুল। এরপরে বিরাট কোহলি(Virat Kohli) সাজঘর থেকে এসে ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে জড়িয়ে ধরেন। দুজনেই ফাইনালে ওঠার আনন্দ উপভোগ করছিলেন। তবে এর কিছুক্ষণ আগে ছবিটা ছিল একেবারেই অন্য রকম। আসলে বিরাট কোহলি যখন অ্যাডাম জাম্পার বলে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন তখন সতীর্থের উপর রেগে গিয়েছিলেন কেএল রাহুল।
আসলে বিরাট কোহলির ব্যর্থ বাউন্ডারি প্রচেষ্টায় বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন কেএল রাহুল। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোহলির ওই ভাবে আউট হওয়াটা অন্য প্রান্ত থেকে দেখে বিরক্ত হয়েগিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই কোহলি আউট হয়ে যখন সাজঘরের দিকে যাচ্ছিলেন তখন নিজের বিরক্ত প্রকাশ করেন রাহুল।
আসলে ৩৫ ওভারে যখন অক্ষর প্যাটেল আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যাচ্ছেন তখন ভারতীয় দলের ছয় নম্বর ব্য়াটার হিসাবে মাঠে নামেন কেএল রাহুল। এই সময়ে কোহলির সঙ্গে ইনিংসকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কোহলিও নিজের শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। দুজনেই ঠান্ডা মাথায় ভারতীয় ইনিংসকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তবে ব্যাক্তিগত ৮৪ রানের মাথায় অ্যাডাম জাম্পার বলে ভুল সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। বড় ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে যান। যা দেখে কেএল রাহুল বিরক্তি প্রকাশ করেন। আসলে এটি ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছিল এবং কোহলি নিজের শতরানের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন।
রাহুল ধীরে ধীরে সেট হওয়ার পর রান তোলার গতি বাড়াচ্ছিলেন, আর বিরাট কোহলি তখন সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন, ৮৪ রানে ব্যাট করছিলেন। ভারতের তখন বাকি বলের সংখ্যার সমান রান দরকার ছিল। রাহুল একটি দুর্দান্ত ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর ইঙ্গিত দেন।
কিন্তু কয়েক বল পরই কোহলি একটি বড় শট খেলার চেষ্টা করেন, সম্ভবত দ্রুত রান তোলার জন্য এবং নিজের সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছানোর লক্ষ্যে তিনি এটি করেছিলেন। অ্যাডাম জাম্পা অফস্টাম্পের বাইরে গুগলি করেন, কোহলি সেটি লফটেড শট মারার চেষ্টা করেন।
কিন্তু তিনি সঠিকভাবে বল পড়তে পারেননি এবং ভুল শটে আউট হয়ে যান কোহলি। বেন ডওয়ারশুইস সহজ ক্যাচ নেন। এই আউটের পর কেএল রাহুল বিরাট কোহলির দিকে তাকিয়ে বলে ওঠেন, ‘কি দরকার ছিল, আমি তো মারছিলাম।’
কোহলি ও রাহুলের গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভারতের জয় নিশ্চিত করেছিল। বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে ভালোই খেলছিলেন, তবে তিনি দুই গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হারান। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে ৯১ রানের পার্টনারশিপ ভাঙার পর, অস্ট্রেলিয়া কোহলি ও অক্ষর প্যাটেলের ৪৪ রানের জুটিও ভেঙে দেয়।
তবে চাপের মধ্যে না পড়ে, কোহলি ও রাহুল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন, ৪৭ বলে ৪৭ রান তোলেন। কোহলির আউটের পর হার্দিক পান্ডিয়ার ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করে।