India-Canada Relation Update: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করবেন

Spread the love

নিজ্জর হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত এবং কানাডার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বিগত কয়েক মাসে। প্রসঙ্গত, কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছিলেন, খলিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে নাকি ভারতীয় যোগ আছে। এরই মাঝে অবশ্য কানাডার পরবর্তী সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে দাবি করলেন, তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করব। তিনি বলেন, ‘সমমনা দেশগুলির সাথে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্কের বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করব। এবং ভারতের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠনেরও সুযোগ রয়েছে।’ উল্লেখ্য, কানাডার লিবারেল পার্টির প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন কার্নে। এর আগে তিনি কানাডার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর ছিলেন। তিনি লিবারেল পার্টির প্রধান হলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ট্রুডোল স্থানে আসীন হবেন। 

এদিকে যে নিজ্জর হত্যা নিয়ে এত কাণ্ড, সেই খুন নিয়ে সম্প্রতি কানাডার একটি কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে দাবি করা হয়েছিল, ‘হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে যে তোনও বিদেশি শক্তির যোগ থাকতে পারে এমন কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ কানাডার গণতন্ত্রে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত ১২৩ পাতার রিপোর্টে এই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়।

হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আসছে কানাডা। তবে দিল্লিও দাবি করে এসেছে, এই মামলায় দিল্লির হাতে কোনও প্রমাণ তুলে দেয়নি জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এরই মাঝে এই মামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে দিল্লির দাবি, রাজনৈতিক কারণেই ভারতের ঘাড়ে এই দোষ চাপাচ্ছেন ট্রুডো। 

প্রসঙ্গত, নিজ্জর খুনের ঘটনায় প্রমাণ দেখতে চেয়েছিল ভারত। তা দেখানো হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজ্জর খুনের পরে এনআইএ-র তরফ থেকে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের কাছ থেকে খলিস্তানি জঙ্গির ডেথ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। কানাডা সেই ডেথ সার্টিফিকেট দেখায়নি। বরং তারা উলটে প্রশ্ন করেছে, এই ডেথ সার্টিফিকেট ভারতের কেন চাই। তারা কার্যত বুঝিয়ে দেয় যে নিজ্জর খুন সংক্রান্ত তথ্য তারা ভারতকে দিতে নারাজ। উল্লেখ্য, ভারতে নিজ্জরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। এই আবহে আদালতের নথির রেকর্ডের খাতিরে সেই ডেথ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ১৮ জুন গুরুদ্বারের ভেতরেই গুলি করে হত্যা করা হয় খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে। হরদীপকে ২০ বারেরও বেশি গুলি করা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের পঞ্জাবি অধ্যুষিত সারে অঞ্চলে থাকত হরদীপ। বিগত কয়েকবছরে কানাডার ভ্যানকুবারে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে খলিস্তানি বিক্ষোভের নেপথ্যে ছিল এই হরদীপ। কানাডায় মৃত হরদীপের বিরুদ্ধে এনআইএ-র চারটি মামলা ছিল। এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র সহ খলিস্তানি যোগের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এই আবহে হরদীপ নিজ্জরের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করেছিল এনআইএ। জানা যায়, হরদীপ খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধান ছিল। গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনের মতাদর্শ প্রচারের দায়িত্ব ছিল হরদীপের টাইগার ফোর্সের ওপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *