WB Govt on Panagarh Incident। সুতন্দ্রাকে ইভটিজিং করার গল্প বানিয়ে চালানো হচ্ছিল

Spread the love

পানাগড়ে সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটেনি। ইভটিজিং ঘটেছে বলে পুরো একটা ভিন্ন গল্প বানিয়ে চালানো হয়েছে। এমনই দাবি করল রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, ঘটনার দিন রাতে সুতন্দ্রাদের গাড়িকে ওভারটেক করেছিল একটি ক্রেটা গাড়ি। সেই গাড়িটিকে তাড়া করতে থাকে সুতন্দ্রাদের গাড়ি। সেইসময় সামান্য ঠোকাঠুকি হয়েছিল দুটি গাড়ির মধ্যে। সেই পরিস্থিতিতে দুটি গাড়িই গতিতে ছুটতে থাকে। একটা পর্যায়ে এসে ক্রেটা গাড়িটি ছোট রাস্তায় ঢুকে যায়। তারপর সুতন্দ্রাদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নির্মীয়মাণ শৌচালায়ে ধাক্কা মারে। এখানে ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে স্পষ্টভাবে দাবি করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।

আর তিনি যে দাবি করেছেন, সেটাই প্রথম দিন থেকে বলে আসছে পুলিশ। যেদিন (গত ২৪ ফেব্রুয়ারি) সুতন্দ্রার মৃত্যু হয়েছিল, সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশের তরফে একই দাবি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ক্রেটা গাড়িতে থাকা বাবলু যাদব এবং সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজদেও শর্মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলেছিল রাজদেও। যদিও পরবর্তীতে বয়ান বদল করে দেয়। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সুতন্দ্রার মা। 

বাকিদের কিচ্ছু হল না, আর আমার নাতনি মারা গেল? প্রশ্ন ঠাকুমার!

আর গাড়ির চালক এবং সুতন্দ্রাদের সঙ্গে অন্যান্য আরোহীদের ভূমিকা নিয়ে আজও প্রশ্ন তুলেছেন ২৭ বছরের নৃত্যশিল্পীর ঠাকুমা। তিনি বলেন, ‘(সুতন্দ্রার) গাড়ির চালক যখন বয়ান দিচ্ছিল, তখন ওর মুখে-চোখে কিছু প্রকাশ পাচ্ছিল না। একজন যে মারা গেল, একটা বাচ্চা মেয়ে শেষ হয়ে গেল, (সেটা চোখে-মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল না)।  ওদেরই গাড়িতে কারও কিচ্ছু হল না। ডানদিকে ড্রাইভার বসেছিল, পিছনে তিনজন বসেছিল, তারা বলল যে ঢুকে গেলাম। আর আমার নাতনিই মারা গেল একেবারে।’

বাকিরা আহতও হল না? হতবাক সুতন্দ্রার ঠাকুমা

তিনি আরও বলেন, ‘(আমার নাতনি) আহত হত, সবাই আহত হত, (তাহলে বুঝতাম)। একটা গাড়ি দুর্ঘটনা হলে সবাই আহত হয়। কিন্তু ওদের কিছু হল না। আমার নাতনিই একেবারে মারা গেল। তার মাথায় নাকি কাচ ঢুকে গেল, এই হয়ে গেল, ওই হয়ে গেল, বাঁ-দিকে নাকি এত জোরে লেগেছে যে ওর মাথায় নাকি কাচ ঢুকে গিয়েছে, মাথা থেঁতলে গিয়েছে।’

হাইকোর্টে মামলা সুতন্দ্রার মায়ের

তারইমধ্যে সুতন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন নৃত্যশিল্পীর মা। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের কাছে সেই আবেদন করেন। বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতি দেন সুতন্দ্রার মা’কে। সূত্রের খবর, সুতন্দ্রার মায়ের হয়ে মামলা লড়বেন সুপর্ণা দত্ত, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী ভট্টাচার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *