‘পুলিশ শাসক দলকে সুরক্ষা দেয়, আর শাসকদল সুরাক্ষা দেয় অপরাধীদের।’ এমনই এক ভয়েস ওভারে শুরু হয় ভিডিয়োটি। যেখানে ড্রোন শটে দেখা যায় কলকাতা শহরকে। নিচে ফুটে ওঠে লেখা কলকাতা ২০০২। তারপরই দেখা যায় কোনও এক রাজনৈতিক দলের জনসভায় ভিড় করেছেন বিপুল জনতা। সেখানে নেতার বেশে দেখা মেলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। যাঁকে কিনা মঞ্চে উঠে জনতার উদ্দেশ্য হাত নাড়তে দেখা যায়। আর তারপরই দেখা মেলে একের পর এক খুনের দৃশ্য।
এমনই কিছু দৃশ্যায়নই উঠে এসেছে ৫মার্চ, বুধবার উঠে আসা ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর ট্রেলারে। আর কী আছে ট্রেলারে?
প্রসেনজিৎ-এর গলায় শোনা যায়, শঙ্কর বড়ুয়ার ওরফে বাঘা-র নাম। যে অপরাধীর চরিত্রে দেখা মেলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের। হিন্দি ভয়েস ওভারে বলতে শোনা গেল, ‘বাঘ যতই বৃদ্ধ হোক, সে বাঘ-ই থাকে।’ এরপরই নানা গণ্ডগোলের মাঝে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা মেলে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। দেখা মেলে জিৎ-এরও। বাঘা-র খোঁজে বের হয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ অফিসার, জিৎ এর সহযোগীর ভূমিকায় দেখা মেলে মিঠুন পুত্র মিমোর। আবার আরও এক রাজনীতিবিদের ভূমিকায় দেখা মেলে শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়ের। গোটা ট্রেলার জুড়ে উঠে এসেছে কলকাতা শহরে ঘটে যাওয়া অপরাধ, অপরাধী, রাজনৈতিক কার্যকলাপ আর পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার ছবি। ট্রেলারেই স্পষ্ট যে ছবিতে প্রসেনজিতের সঙ্গে লড়াই জমতে চলেছে জিৎ-এর। আর ট্রেলারের শেষে ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে ওঠে, কৈলাস খেরের গলায় সেই গান, ‘এক অউর রং ভি দেখিয়ে এই বাঙ্গাল কা…’।
কিন্তু এখন প্রশ্ন জিৎ-প্রসেনজিৎ-এর লড়াইয়ে জিতবে কে?
এর উত্তর অবশ্য মিলবে ২০ মার্চ, ২০২৫। কারণ ওই দিনই নেটফ্লিক্সের পর্দায় আসছে খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার। চলুন তার আগে চোখ রাখা যাক সিরিজের ট্রেলারে।
নীরজ পাণ্ডে নিবেদিত এই ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন দেবব্রত মণ্ডল ও তুষারকান্তি রায়। ট্রেলারেই স্পষ্ট কলকাতার রাজনীতি, আর গ্যাংস্টার রাজত্বের কথা উঠে আসবে এই ওয়েব সিরিজে।