মিচেল স্যান্টনারের ভাবনায় এখন থেকেই ঢুকে পড়েছে ভারত। কারণ এই দলের বিরুদ্ধে কয়েক দিন আগে দুবাইয়ের মাটিতে হারতে হয়েছিল তাঁদের। দীর্ঘ কয়েক দশক পর আইসিসির সিমিত ওভারের ট্রফি জিততে গেলে ভারতের শক্ত ঘাটি বা দূর্গ বলা যায়, দুবাইতেই বিরাটদের হারাতে হবে। যেখানে আবার টিম ইন্ডিয়া শেষ চার ম্যাচেই জিতেছে।
কিউয়িদের ভরসা হেনরির বোলিং
এমনিতে এই প্রতিযোগিতা খেলতে আসার আগে পর্যন্ত ভারতের ট্র্যাক রেকর্ড দুবাইতে ভালো না হলেও তাঁরা কিন্তু এবারে রয়েছে অপ্রতিরোধ্য, যা দেখেই স্যান্টনাররা গেম প্ল্যানিং শুরু করে দিচ্ছেন। আরও একটা বড় কারণ হল বিরাট কোহলির দুরন্ত ছন্দে থাকা। তাঁকে রুখতে তাই ম্যাট হেনরির পেস বোলিংয়ের ওপরই ভরসা রাখতে চলেছে কিউয়িরা।
দুবাইতে আগে খেলাকেই অস্ত্র করছেন স্যান্টনার
দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫০ রানে জিতলেও প্রতিপক্ষ দল প্রায় ৩১২ রান পর্যন্ত করেছে চেজ করতে নেমে, যা চিন্তায় রাখছে কিউয়ি অধিনায়ককে। তবে ম্যাচ শেষে সেই বিষয়টি বেশি প্রকট হতে দেননি তিনি। স্যান্টনার বললেন, ‘অবশ্য ভালো দলের বিরুদ্ধে আজকে আমাদের খেলতে হয়েছিল বলে চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছিলাম, তবে জিততে পেরে ভালোই লাগছে। দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে আমরা আগেও খেলেছি, একটু বিশ্রাম নেবার পর সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করব ’।
হেনরিকে নিয়ে আপডেট দিলেন স্যান্টনার
এরপরই স্যান্টনার দঃ আফ্রিকা ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন রাচিন রবীন্দ্র এবং কেন উইলিয়ামসন, দলের দুই শতরানকারীকে। তাঁর কথায়, ‘শুরুর দিকে রাচিন রবীন্দ্র এবং উইলিয়ামসনই দায়িত্ব নিয়ে মঞ্চটা সাজিয়ে দিয়েছিল। এরপর বোলিং করতে নেমে আমরা মিডল ওভারেও উইকেট নেওয়ায় দঃ আফ্রিকার কাছে কাজটা কঠিন হয়ে গেছিল। ব্রেসওয়েল গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ভালো বোলিং করেছে। আমার কাজটাও সহজ হয়েছে, কারণ আমাদের দলে চারজন অলরাউন্ডার রয়েছে যারা স্পিন বোলিং করেন। তবে ম্যাট হেনরির কাঁধের অবস্থা কিরকম রয়েছে, সেটা দেখার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। ওর কাঁধে ফোলা রয়েছে, তাই কয়েকদিন বিশ্রাম দিতে হবে’।
ভারতের বিপক্ষে নামার আগে স্যান্টনার তেমন বদলার হুঙ্কার না দিলেও তিনি কিন্তু জানিয়ে গেলেন টসটাই বড় ফ্যাক্টর হবে দুবাইতে। কারণ ভারত ছাড়া নিউজিল্যান্ডও এর আগে এই মাঠে ম্যাচ খেলেছে, ফলে উইকেট কেমন হতে পারে সেই অভিজ্ঞতা তাঁদের রয়েছে। আর চোকার্স তকমা ঝেড়ে ফেলার জন্য তাঁরাও মরিয়া হয়ে রয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।