আমেরিকায় মৃত অবস্থায় এক ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে। জানা গিয়েছে, মৃত ভারতীয় পড়ুয়ার নাম জি প্রবীণ, বয়স ২৬ বছর। তিনি তেলঙ্গনার বাসিন্দা ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে রিপোর্ট থেকে। উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে এমএস করছিলেন তিনি। প্রবীণের খুড়তুতো ভাই অরুণ পিটিআই-কে জানিয়েছেন, বুধবার সকালে আমেরিকার কর্তৃপক্ষ প্রবীণের পরিবারকে তাঁর মৃতদেহ পাওয়ার খবর জানায়। তাঁর বন্ধুরা বলেছে যে প্রবীণের শরীরে গুলির আঘাত ছিল।
এদিকে প্রবীণের পরিবারের দাবি, তাঁরা এখনও মৃত্যুর আসল কারণ জানে না। তবে অরুণের বক্তব্য, পরিবার নাকি কয়েকজনের থেকে শুতে পেয়েছেন যে অজ্ঞাত আক্রমণকারীরা প্রবীণকে গুলি করে হত্যা করেছে। জানিয়েছেন। আমেরিকার কর্তৃপক্ষ প্রবীণের পরিবারকে জানিয়েছে যে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করা যাবে। এদিকে অরুণ আরও জানিয়েছেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ফোন আসার আগে প্রবীণের ফোন থেকেই তাঁর বাবার কাছে ফোন এসেছিল ভোরের দিকে। তবে সেই সময় প্রবীণের বাবার ঘুম ভাঙেনি। তাই তাঁদের কথা হয়নি।
প্রবীণের বাড়ি হায়দরাবাদ লাগোয়া রঙ্গারেড্ডি জেলায়। তাঁর মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ২০২৩ সালে মাস্টার্স করার জন্য আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রবীণ। তার আগে হায়দরাবাদ থেকে প্রযুক্তিবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন প্রবীণ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি শেষবার ভারতে তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। এই বছরের জানুয়ারিতে তিনি আমেরিকা চলে যান।
এদিকে প্রবীণের মৃত্যুর আগে সাম্প্রতিককালে তেলঙ্গনার আরও দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল আমেরিকায়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে তেলেঙ্গানার খাম্মাম শহরের এক ছাত্রকে আমেরিকায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয় পিটিআই-এর রিপোর্টে। এদিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতেই হায়দরাবাদের অন্য় এক পড়ুয়াকেও গুলি করে খুন করা হয়েছিল মার্কিন মুলুকে।
উল্লেখ্য, মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজদের হামলার ঘটনা প্রায়শ্রয়ই ঘটে থাকে। এর আগে ডেমোক্র্যাটরা বন্দুক নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল। তবে রিপাবলিকানরা বন্দুক নিয়ন্ত্রণের ঘোরতর বিরোধী। এই আবহে বিগত বছরগুলিতে আমেরিকায় এই ধরনের অপরাধ ক্রমেই বাড়ছে। একাধিক ঘটনায় শপিং মল, স্কুল এমনকী হাসপাতালে পর্যন্ত বন্দুকবাজের হামলার শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। তবে প্রবীণের মৃত্যুর ঘটনা ঠিক কী কারণে ঘটেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ।