Laughtersane। বাংলার ‘বিলুপ্তপ্রায়’ জিনিস নিয়ে ইঙ্গিতবহ বার্তা লাফটারসেনের

Spread the love

বাংলায় বর্তমানে যতজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম তো বটেই, প্রথম সারির কনটেন্ট ক্রিয়েটর হলেন লাফটারসেন ওরফে নিরঞ্জন মন্ডল। তিনি তাঁর ভিডিয়োর মাধ্যমে নানা সামাজিক বার্তা দিয়ে থাকেন। এদিনও তার অন্যথা হল না। তাঁর নতুন ভিডিয়ো দেখে বাঙালিদের নস্টালজিয়া উসকে গেল।

লাফটারসেনের নতুন ভিডিয়ো

এদিন লাফটারসেন বঙ্গ সমাজ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বা হতে বসা জিনিস নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। এই জিনিসগুলো একটা সময় বাঙালি এবং বঙ্গ জীবনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল। তালিকায় হ্যারিকেন থেকে কাঁথা সহ ক্যালেন্ডার, টর্চ সবই আছে। বাদ যায়নি কার্পেটও।

আগে কম বেশি সমস্ত গৃহস্থ বাড়িতেই তেলের কুপি বা হ্যারিকেন থাকত। কিন্তু বিদ্যুৎ আসার সঙ্গে সঙ্গে, এবং লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমায়, ইনভার্টার, ইমারজেন্সি আলো আসায় হ্যারিকেন প্রায় না একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আগে কাঁথার রমরমা থাকলেও এখন তার বাজার নেই বললেই চলে। অন্যদিকে ক্যালেন্ডার বা টর্চ? সবই তো মুঠোফোনে রয়েছে। আলাদা করে সেগুলোর প্রয়োজন পড়েই না। অতএব, সেগুলোও বাতিলের খাতায়।

এদিন এই বিষয়ে নিয়েই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন লাফটারসেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় সমাজে ইতিমধ্যেই জায়গায় পাকা করেছে হ্যারিকেন, কাঁথা, কার্পেট। সেখানে নতুন এন্ট্রি হিসেবে এসেছে টর্চ এবং ক্যালেন্ডার। যদিও ক্যালেন্ডার জানিয়েছে তাকে মাঝে মধ্যে লাগবে আজকালকার আধুনিক ডিজিটাল ক্যালেন্ডারকে ট্রেনিং দিতে যাওয়ার জন্য। তাঁর এই ভিডিয়ো দেখে নস্টালজিয়ায় ভেসে গিয়েছেন সকলে। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সকলেই মন্তব্য করেছেন।

কে কী বলছেন?

শ্রুতি দাস ওরফে রাঙা বউ এদিন লেখেন, ‘জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার মতো কনটেন্ট বানাও।’ শিঞ্জিনি চক্রবর্তী, প্রমুখ মন্তব্য করেছেন। কেউ আবার লেখেন, ‘তুমি এমন একজন ক্রিয়েটর যার কথা একটা সময়ে গিয়ে সেই প্রজন্ম বলবে আমাদের দাদু ঠাকুমাদের সময় একজন সেরা কনটেন্ট ক্রিয়েটর ছিলেন।’ কেউ আবার লেখেন, ‘এবার এই তালিকায় ঢুকবে খবরের কাগজ।’ কারও মতে, ‘এমন সব ভাবনা আসে কীভাবে? দুর্দান্ত!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *