চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার জন্য ভারত যেহেতু আয়োজক দেশ পাকিস্তান সফর করবে না, তাই হাইব্রিড মডেলে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে আইসিসি। যার ফলে পাকিস্তান এবং দুবাই মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে। ভারত তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলেছে। যে কারণে ভারতের সঙ্গে ম্যাচ খেলার জন্য দলগুলিকে পাকিস্তান থেকে উড়ে দুবাই আসতে হয়েছে, বা দুবাই থেকে উড়ে যেতে হয়েছে পাকিস্তানে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের এমন সূচির নিয়ে এবার তোপ দেগেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা প্লেয়ার ডেভিড মিলার। তিনি এরকম সূচির জন্য আইসিসি-র তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বুধবার লাহোরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচে ৩৬৩ রান তাড়া করতে নেমে ৫০ রানে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচটির আগে পাকিস্তান থেকে ঝটিকা সফরে দুবাইতে উড়ে এসেছিল প্রোটিয়ারা। আসলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় সূচির জেরেই দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়াকে ভারতের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সেমিফাইনালের প্রস্তুতির জন্য তাদের নিজ নিজ গ্রুপের খেলার শেষ করার পর পাকিস্তান থেকে দুবাইতে উড়ে আসতে হয়েছিল। এদিকে ভারত তাদের গ্রুপ ‘এ’-র শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়ায়, লিগ টেবলের শীর্ষে শেষ করে। যে কারণে সেমিফাইনালে গ্রুপ ‘বি’-র দুইয়ে থাকা দল অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচটি দুবাইয়ে হয়। আর দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ডের। সেই সেমিফাইনাল ম্যাচটি ছিল লাহোরে। তাই প্রোটিয়াদের ফের দুবাই থেকে লাহোরে উড়ে যেতে হয়।
বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যাওয়ার পর মিলার বলেন, ‘এটি মাত্র এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইট, কিন্তু আমাদের যেভাবে যাতায়াত করতে হয়েছে, তা মোটেও আদর্শ ছিল না। একটি ম্যাচ খেলার পরে খুব ভোরে আমাদের উড়ে যেতে হয়েছিল। তার পর আমরা বিকেল চারটের সময়ে দুবাইতে পৌঁছেছিলাম। এবং পরের দিন সকাল সাড়ে সাতটায় আমাদের আবার ফিরে আসতে হয়েছিল। এটি মোটেও ভালো বিশয় নয়। আমরা হয়তো পাঁচ ঘন্টা ফ্লাই করেছি, এবং আমাদের পুনরুদ্ধার করার এবং সুস্থ হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময়ও ছিল, তবে এটি কখনও একটি আদর্শ পরিস্থিতি হতে পারে না।’
দক্ষিণ আফ্রিকা নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হলেও, নায়ক হয়ে থেকে গিয়েছেন ডেভিড মিলার। প্রোটিয়াদের উইকেট পড়ার ভিড়ে একা লড়েছেন মিলার। কুম্ভ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে একা রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। এবং এই পরিস্থিতিতেও মাত্র ৬৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। তবে যোগ্য সঙ্গত না পাওয়ায় শেষ রক্ষা করতে পারেননি। মিলার ছিলেন বলেই, প্রোটিয়ারা ৩১২ রানে পৌঁছতে পেরেছিল। তা না হলে অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত তাদের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিতে হেরে যাওয়ায় ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রেখে ফাইনালে উঠেছে। সেখানে নিউজিল্যান্ড গ্রুপ লিগের ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছে। তবে ডেভিড মিলার কিন্তু ফাইনালে এগিয়ে রাখছেন কিউয়িদের। পাশাপাশি তিনি নিউজিল্যান্ডকেই সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। মিলার বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি সম্ভবত নিউজিল্যান্ডকেই সমর্থন করব।’ তবে কি ভারতের জন্য বিশেষ সূচি করা হয়েছে বলে চটেছেন ডেভিড মিলার?