‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি কলকাতায়, বাধ্য হয়ে…’

Spread the love

টলিউড থেকে বলিউড, সর্বত্র অবাধ বিচরণ তাঁর। ছোট পর্দার অতি পরিচিত মুখ তিনি। কাজ করেছেন একাধিক বাংলা সিরিজ, সিনেমাতেও। এ হেন অভিনেত্রী এদিন একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানান কলকাতায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কিন্তু কেন?

কী ঘটেছে দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে?

এদিন দেবচন্দ্রিমা(Debchandrima) একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানান এক ব্যক্তির জন্য তিনি একেবারে তিতিবিরক্ত। সেই ব্যক্তি দুমদাম তাঁর বাড়ি চলে আসেন, তাঁর যে স্টাইলিস্ট বা যে ডিজাইনারের সঙ্গে অভিনেত্রী অধিকাংশ সময় কাজ করেন তাঁকে ফোন করে থ্রেট দেন। রীতিমত উত্যক্ত করেন। এদিন বাধ্য হয়ে, ভয় পেয়ে এই ভিডিয়ো পোস্ট করে সমস্তটা তিনি তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন।

দেবচন্দ্রিমাকে গোটা ঘটনা ব্যাখ্যা করে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বাধ্য হয়ে এই সিচুয়েশনে এই অবস্থায় ভিডিয়োটা বানাচ্ছি কারণ আমি খুব ভয় পেয়ে গেছি। অরিন্দম বলে একটি ছেলে আছে যাকে আমি ইনস্টাগ্রাম, ইত্যাদি সহ সমস্ত জায়গা থেকে ব্লক করে দিয়েছি বাধ্য হয়ে। আমি নিশ্চিত সে মানসিক ভাবে সুস্থ নয়। সে নিজেকে আমার ফ্যান বা হেটার্স কোনও কিছু বলেই দাবি করে না। আমি নিজেও বুঝতে পারি না সে কি। সেই ছেলেটি আমার বাড়ি চলে আসে না বলে। দরজা ধাক্কা দিয়ে বলে আমায় ভিতরে যেতে দাও, দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে আমি দেখা করতে চাই। আমি জানি না মানুষের এত সাহস কী করে হয়।’

তিনি এদিন আরও বলেন, ‘কখনও কখনও তোমরা ভালোবেসে কাছ থেকে দেখার জন্য চলে আসো। কিন্তু আমার মনে হয় না এটা ভালোবাসা, বা তার কোনও রূপ। আমি এখন রীতিমত নার্ভাস হয়ে আছি।’ জানান তাঁর ডিজাইনারকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। সেই বিষয়ে বলেন, ‘রুদ্র আমায় কী জামা কাপড় পরাবে সেটার জন্য ওকে ফোন করে থ্রেট দেওয়া হয়। নমিতা দিকে বারবার ফোন করে বিরক্ত করা হয়। আমাদের সবার জীবন না একদম খারাপ করে দিয়েছে একটি ছেলে। ওঁর কাছে ভাগ্যবশত আমার নম্বরটা নেই। নইলে বোধহয় এতদিনে অনেক কিছু হয়ে যেত।’

অভিনেত্রীর দাবি ছেলেটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি একাধিক নম্বর থেকে ফোন করেন তাঁকে। তার কাছে অন্তত ২০-২৫ টা নম্বর আছে শুধুমাত্র দেবচন্দ্রিমার কাছে পৌঁছানোর জন্য। অভিনেত্রী জানান, ‘আজ আমি বাধ্য হয়ে ওর সঙ্গে কথা বলি, কল রেকর্ড করি। আমার উপর চিৎকার করতে থাকে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কলকাতায় আমি এখন একা। পুলিশ কমপ্লেন ইতিমধ্যেই করে দিয়েছি। সে হয়তো কারও বাড়ির ছেলে, সন্তান। আমি চাই না কারও ক্ষতি হোক। কিন্তু এরপর যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে সেটার জন্য আমি দায়ী থাকব না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *