Indian Female Scientists। দেশের গর্বের অধ্যায়ের তাবড় নাম এই ৫ ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানী

Spread the love

সৃষ্টি হয়েছিল বিজ্ঞানের ইতিহাস, গর্বিত ভারতের ‘শিকড়’ ছিলেন যে মহিলা বিজ্ঞানীরা। সে যুগে নেট দুনিয়ার অভাব তাঁদের পরিচিতি ঘরে ঘরে পৌঁছে না দিলেও, আজকের ডিজিটাল যুগে কমবেশি সকলেই এই মহান মহিলাদের নাম জানি। এমনিতেও আজকের সময়ে, নারীরা পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছেন। অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পুরুষদের অনেক এগিয়ে রাখছে। আজ আমরা আপনাদের ভারতের সেইসব মহিলা বিজ্ঞানীদের কথা বলব যারা বিশ্বে ভারতের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। আজকের সময়ে, বিজ্ঞান অনেক এগিয়েছে এবং প্রথম থেকেই দেশের মহিলারা বিজ্ঞানেও বিশাল অবদান রেখেছেন।

১. আনন্দীবাই গোপালরাও জোশী (১৮৬৫-১৮৮৭)

আনন্দীবাই গোপালরাও যোশী ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসক। তিনিই সেই মহিলা যিনি আমেরিকা থেকে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন, যখন নারীরা পড়াশোনা করতে গিয়ে বাধা পেতেন। ৯ বছর বয়সে যোশীর বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী তাঁর থেকে ২০ বছরের বড় ছিলেন এবং আনন্দীবাঈ ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। আনন্দীবাঈ ১৪ বছর বয়সে মা হন, কিন্তু ওষুধের অভাবে তাঁর ছেলে অল্প বয়সেই মারা যায়। এই কারণে তিনি ওষুধ নিয়ে গবেষণা করার কথা ভাবেন। আনন্দীবাঈয়ের স্বামীই তাঁকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়নের জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।

২. জানকী আম্মাল (১৮৯৭-১৯৮৪)

তিনি ভারতের প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী, যিনি পদ্মশ্রী পুরষ্কারে ভূষিত হন । ১৯৭৭ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরষ্কারে ভূষিত হন। জানকীকে ভারতের বোটানিক্যাল সার্ভে-এর পরিচালক হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৯০০-এর দশকে, তিনি উদ্ভিদবিদ্যা বেছে নেন, যা সেই সময়ে মহিলাদের জন্য একটি অস্বাভাবিক বিষয় ছিল। এরপর তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সাইটোজেনেটিক্সের উপর গবেষণা শুরু করেন। আখ এবং বেগুনের বিভিন্ন প্রজাতির উপর কাজও করেন এবং এর জন্যই সম্মানিত হয়েছিলেন বিজ্ঞানী জানকী আম্মাল।

৩. কমলা সোহনি (১৯১২-১৯৯৮)

কমলা সোহনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানী যিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি আইআইএসসি-তে গবেষণা ফেলোশিপের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু শুধুমাত্র একজন মহিলা হওয়ার কারণে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। তিনি ছিলেন অধ্যাপক সি ভি রমনের প্রথম মহিলা ছাত্রী। তাঁর গুণাবলী দেখে সি ভি রমন তাঁকে পরবর্তীতে আরও গবেষণা করার অনুমতি দেন। কমলা সোহনিই আবিষ্কার করেন যে প্রতিটি উদ্ভিদ টিস্যুতে ‘সাইটোক্রোম সি’ নামক একটি এনজাইম থাকে।

৪. অসীমা চ্যাটার্জি (১৯১৭-২০০৬)

অসীমা চ্যাটার্জী কেমিস্ট্রিতে তাঁর কাজের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৩৬ সালে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন অসীমা চ্যাটার্জি। অসীমা চ্যাটার্জি তৈরি করেছিলেন মৃগীরোগ প্রতিরোধী এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ। জানা যায়, অসীমা চ্যাটার্জি ক্যানসার সম্পর্কিত একটি গবেষণায়ও জড়িত ছিলেন।

৫ রাজেশ্বরী চ্যাটার্জী (১৯২২-২০১০)

কর্ণাটকের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ্বরী বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য সরকারের কাছ থেকে স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। এটা ১৯৪৬ সালের কথা। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংএ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তারপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ভারতে ফিরে আসার পর, তিনি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের একজন অধ্যাপক হিসাবে কাজ শুরু করেন এবং পরবর্তীতে তাঁর স্বামীর সঙ্গে মাইক্রোওয়েভ গবেষণা পরীক্ষাগারও খুলেছিলেন বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *