সম্প্রতি হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। দাবি করা হয়েছিল, রামমন্দিরে(Rammandir) হামলা করার ছক কষছিল সে। এহেন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী আব্দুল রহমান সম্প্রতি নাকি এসটিএফ জেরায় বিস্ফোরক সব তথ্য দিয়েছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। লাইভহিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে জানিয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দিরে হামলার আগে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ স্থলে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল তার। এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সীমান্ত পার থেকে তার সহযোগীর নির্দেশ এসেছিল। মহাকুম্ভে হামলার জন্যে আব্দুলকে ফরিদাবাদ থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড নিতে বলেছিল তার পাক হ্যান্ডলার। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে সে মহাকুম্ভের সময় সেখানে যেতে পারেনি।
সূত্র মতে, এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স) সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী আব্দুল রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছে যে, অযোধ্যায় মার্চ মাসে হামলার পরিকল্পনা ছিল তার। এর আগে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভে হামলা করার পরিকল্পনা ছিল। মহাকুম্ভে কোটি কোটি মানুষ জড়ো হয়েছিল। অধিক জনসমাগমের কারণে মহাকুম্ভকে নিশানা করা হয়েছিল। মহাকুম্ভে(Mahakumbh) হামলা করার জন্য তাকে ফরিদাবাদ থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। তবে সেই সময় হঠাৎ করে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই কারণে সে আর ফরিদাবাদ যায়নি। যখন বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়, তখন সীমান্ত পার থেকে তার সহযোগী আব্দুলেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরে হামলা করার নির্দেশ দেয়। ৪ মার্চের পর যেকোনও সময়ই অযোধ্যা রাম মন্দিরে হামলা করার কথা ছিল আব্দুলের। এখন এসটিএফ-এর দল গ্রেনেড সরবরাহকারী স্লিপার সেলের সন্ধান করছে।
সূত্রের খবর, সীমান্ত পার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে গ্রেনেড পাঠানো হচ্ছে ভারতে। হয়তো রাজস্থান বা পঞ্জাবের সীমান্তের কাছে এই গ্রেনেড পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তা স্লিপার সেলের হাতে গিয়ে পড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি) মডিউলের সাথে যুক্ত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী আব্দুল রহমানের ৪ মার্চ অযোধ্যায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুজরাট এটিএস এবং পালওয়াল এসটিএফ-এর যৌথ দল ২ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আব্দুল রহমানকে বুধবার এনআইএ এবং আইবি-এর দল জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই সময়ও অভিযুক্ত ব্যক্তি বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে।