২০২৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সম্পদ হারানো ব্যক্তি হলেন ইলন মাস্ক(Elon Mask)। এরই সঙ্গে বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনও ব্যক্তি ১০০ বিলিয়নের সম্পদ হারালেন এই এত কম সময়ের মধ্যে। বৃহস্পতিবার মাস্কের সম্পদে ১০.৯ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে এবং এই ক্ষতির সাথে তিনি এই বছর ১০২ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা) হারিয়েছেন। তিনি এই বছর প্রতিদিন প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার (১৩,০০০ কোটি টাকার বেশি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবুও মাস্ক বিশ্বের ধনী ব্যক্তি। বর্তমানে মাস্কের নেটওয়ার্থ ৩৩০ বিলিয়ন ডলার।
ব্লুমবার্গের মতে, টেসলায় প্রায় ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মাস্কের। এবং তাঁর কাছে ২০০৮ সালের ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ থেকে ৩০৪ মিলিয়ন স্টক অপশনও রয়েছে। ইলন মাস্কের নেটওয়ার্থে হ্রাসের প্রধান কারণ হল টেসলার শেয়ারের দাম কমে যাওয়া। বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ার মূল্য ৫ শতাংশের বেশি কমেছে এবং গত এক মাসে ৩০ শতাংশের বেশি কমে গেছে মাস্কের সংস্থার শেয়ারের দাম। এই সময়কালে মাস্কের নেট ওয়ার্থ ৪৩৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
এদিকে শুধু মাস্ক নয়, বিশ্বের তাবড় টেক কোম্পানির মাথায় থাকা ধনকুবেরদের জন্যে সময়টা ভালো যাচ্ছে না। এই বছর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া প্রথম পাঁচজন ব্যক্তির মধ্যে সবাই প্রযুক্তি খাতের। এদের মধ্যে ইলন মাস্ক ছাড়াও রয়েছেন মাইকেল ডেল। তবে, মাস্কের তুলনায় তাঁর সম্পদ মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলার কমেছে। বর্তমানে মাইকেল ডেলের মোট সম্পদ ১০৪ বিলিয়ন ডলার এবং মাস্ক প্রায় এই পরিমাণ সম্পদ এই বছর হারিয়েছেন। ডেল ছাড়াও ল্যারি এলিসন ১৯.৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেনসেন হুয়াং ১৭.২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেফ বেজোস ১৬.৭ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন।
ভারতীয় ধনকুবের আদানি-আম্বানির হাল কী?
এদিকে অদানি গ্রুপের শেয়ারে বৃহস্পতিবার বৃদ্ধির ফলে গৌতম অদানির সম্পদে ৪৫৫ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তিনি ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্সে এক ধাপ উপরে উঠে ২১ নম্বরে পৌঁছেছেন। তবে, ভারতীয় অধনকুবেরদের মধ্যে এই বছরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি গৌতম অদানি। তাঁর এই বছর ১০.২ বিলিয়ন ডলার সম্পদ কমেছে। এর ফলে এখন তাঁর নেট ওয়ার্থ দাঁড়িয়েছে ৬৮.৫ বিলিয়ন ডলার। মুকেশ আম্বানিও এই বছর ৫.৪ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন। তাঁর নেটওয়ার্থ ৮৫.২ বিলিয়ন ডলার এবং তিনি বিশ্বের ১৭তম ধনী ব্যক্তি।