Sunil Chhetri returning to Indian Team। অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরছেন সুনীল ছেত্রী

Spread the love

অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরছেন সুনীল ছেত্রী। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) তরফে বলা হয়েছে, ‘সুনীল ছেত্রী ইজ ব্যাক। মার্চে ফিফার আন্তর্জাতিক উইন্ডোতে ভারতীয় দলে ফিরতে চলেছেন অধিনায়ক, নেতা এবং কিংবদন্তী।’ আসলে আগামী ২৫ মার্চ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা-অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ আছে ভারতের। তার আগে ১৯ মার্চ মলদ্বীপের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবে। ৪০ বছরের সুনীল শুধুমাত্র সেই দুটি ম্যাচের জন্য ভারতীয় দলে ফিরছেন কিনা, তা নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। পরবর্তীতেও খেলবেন কিনা, সেটাও স্পষ্টভাবে জানায়নি ফেডারেশন।

কী অবস্থা ভারতীয় দলের, আক্ষেপ ফ্যানদের

যদিও সুনীলের সেই সিদ্ধান্তে খুশি হবেন কিনা, তা নিয়ে ধন্দে আছেন ফুটবল ভক্তরা। এক নেটিজেন বলেছেন, ‘একদিকে আমি আনন্দিত যে সুনীল ছেত্রী ফের ভারতীয় জার্সি পরে মাঠে নামবেন। কিন্তু অন্যদিকে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় যে পুরো দেশে আমরা এখনও সুনীল ছেত্রীর একজনও বিকল্প পেলাম না।’ একইসুরে অপর একজন বলেন, ‘সুনীল ছেত্রীকে ছাড়া ভারতীয় দলের এমনই অবস্থা যে ওঁকে অবসর ভাঙতে বাধ্য হল।’

আইএসএলের প্রথম ২০ সর্বোচ্চ গোলদাতার মধ্যে ২ ভারতীয়!

তাঁরা যেটা বলেছেন, সেটা খুব একটা ভুল কিছুও নয়। আর সেটা এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) পরিসংখ্যান দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। আপাতত আইএসএল সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় দুইয়ে আছেন সুনীল। ২৩টি ম্যাচে ১২টি গোল করেছেন। তিনি ছাড়া প্রথম ২০-তে মাত্র একজন ভারতীয় আছেন। তিনি হলেন শুভাশিস বোস। ২২টি ম্যাচে ছ’টি গোল করেছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের অধিনায়ক। যিনি আবার স্ট্রাইকার নন। অর্থাৎ জাতীয় দলে সুনীলের বিকল্প যে এখনও তৈরি হয়নি, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

অথচ মাসকয়েক আগেই জাতীয় দলের হয়ে বুট তুলে রেখেছিলেন সুনীল। ৬ জুন কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার এবং ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপের বাছাই-পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে কুয়েতের বিরুদ্ধে নিজের কেরিয়ারের ‘শেষ’ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। তারপর বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলেছিলেন সুনীল?

আর যখন সুনীল অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি (আগে) কখনও ভাবিনি যে দেশের হয়ে এতগুলি ম্যাচ খেলেছি আমি। এরকম-এরকম করেছি, সেটা ভালো হোক বা মন্দ। কিন্তু এখন আমি ভেবেছি। মাসদুয়েক ধরে আমি সেটা ভেবেছি। বিষয়টা খুব অদ্ভুত ছিল। এই ম্যাচটা (কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচ) যে আমার শেষ ম্যাচ হবে, সেই সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম বলেই আমি সম্ভবত বিষয়টা নিয়ে ভাবছিলাম।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি যখন নিজেকে বলি যে এটাই আমার শেষ ম্যাচ হবে, তখন আমার সবকিছু স্মৃতি মনে পড়ছিল। কী অদ্ভুত ছিল বিষয়টা। এই ম্যাচটার কথা ভাবছিলাম, ওই ম্যাচটার কথা ভাবছিলাম। এই কোচের কথা ভাবছিলাম, ওই কোচের কথা ভাবছিলাম। এই টিমটার কথা ভাবছিলাম, ওই কথা ভাবছিলাম। এই মাঠের কথা ভাবছিলাম, ওই মাঠের কথা ভাবছিলাম। এই অ্যাওয়ে ম্যাচের কথা ভাবছিলাম। এই ভালো ম্যাচের কথা ভাবছিলাম, ওই বাজে ম্যাচটার কথা ভাবছিলাম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *