একই এপিক নম্বরে দেশে একাধিক ভোটার কার্ড রয়েছে বলে তৃণমূল যে অভিযোগ তুলেছে তার সত্যতা আগেই স্বীকার করে নিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার ৩ মাসের মধ্যে যাবতীয় ত্রুটি সংশোধন করে নতুন ভোটার কার্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কমিশন। শুক্রবার নয়া দিল্লির অশোক রোডে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। যা নিজেদের জয় হিসাবে দেখছে তৃণমূল।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একই এপিক নম্বরে দেশে একাধিক ভোটার কার্ড রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সভায় এই ঘটনাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মদতে বিজেপি ভিনরাজ্যের ভোটারদের নাম পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় তুলছে। এভাবেই ভোটার তালিকায় কারচুপি করে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে জয় পেয়েছে বিজেপি।
মমতার অভিযোগের পর রবিবার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বিষয়টিকে প্রযুক্তিগত সমস্যা বলে উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে এই ত্রুটির জেরে কোনও ভোটার নিজের বুথের বাইরে অন্য কোথাও ভোট দেবেন, সেই সম্ভাবনা নেই বলে জানায় তারা। শুক্রবার জারি করা বিবৃতিতে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে সব ব্যক্তির ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর এক তাদের প্রত্যেককে আলাদা ভোটার কার্ড দেওয়া হবে। এই কাজ করা হবে ৩ মাসের মধ্যে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের জয় বলে দেখছে তৃণমূল। তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোচ্চার হওয়াতেই নিজেদের ত্রুটি স্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারই প্রত্যেককে আলাদা এপিক নম্বর দেওয়ার দাবিতে কলকাতায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু দাসের সঙ্গে দেখা করেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তবে তৃণমূলের এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি, তাদের দাবি, ভোটার লিস্ট তৈরি ও সংশোধনের কাজ করেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাদের ত্রুটিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।