রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিজেপি ভুয়ো ভোটারদের নাম তুলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ কি বুমেরাং হতে চলেছে তৃণমূলের কাছে? সেই সম্ভাবনাই দেখা দিয়েছে বিরোধীদের অভিযোগে। তাদের দাবি, রাজ্যে বহু জায়গায় অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে করানো হচ্ছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। যার জেরে থেকে যাচ্ছে ত্রুটি।
সম্প্রতি রাজ্যের ভোটার তালিকায় বিজেপি ভিনরাজ্যের ভোটারদের নাম তুলছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই দলের নেতাকর্মীদের ভুয়ো ভোটার খুঁজতে ময়দানে নামার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার পরই জেলায় জেলায় মাঠে নেমে পড়েন তৃণমূলের নেতা – মন্ত্রী বিধায়করা। একই এপিক নম্বরে ভুরি ভুরি ২ বা তার বেশি খুঁজে পাওয়ার দাবি করেন তাঁরা। একই সঙ্গে জীবিত মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ও মৃত মানুষের নাম থেকে যাওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
যদিও কমিশনের বিরুদ্ধে মমতার আভিযোগ আগেই ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজ করেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ফলে ত্রুটি থাকলে তার দায় রাজ্যেরই। এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এল হুগলির আরামবাগ থেকে। অভিযোগ সেখানে ভোটার লিস্ট সংশোধনে কাজে লাগানো হচ্ছে অস্থায়ী কর্মীদের। অস্থায়ী শিক্ষক থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী একাধিক জায়গায় বিএলও হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে তাদের। যাদের অনেকের ঠিক মতো কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেই।
গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্ব জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের। মহকুমা শাসক আবার বিডিওকে দায়িত্ব দেন। তার পর যে কী হয় সবাই জানে। বিডিও অফিসগুলো সব তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে।
আরামবাগের প্রাক্তন বাম সাংসদ শক্তিমোহন মালিক বলেন, যাদের ভোটের কাজে লাগানো হয় তাদের অনেকের কম্পিউটার সাক্ষরতাই নেই। কী ভাবে তারা অনলাইনে ফর্ম ফিল আপ করে তারাই জানে।
ওদিকে ভোটের কাজে নিযুক্ত এক অস্থায়ী কর্মী জানান, উপায় নেই তাই এই কাজ করতে হয়। টাকাও কম আর দেয়ও দেরিতে। অস্থায়ী চাকরি করি, সাহেবদের দাবি না মানলে চাকরিটাই চলে যেতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে করতে হয়।