শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে বারংবারই তাঁর আমলের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মহম্মদ ইউনুস সরকার। এদিকে সেই দেশে ভারত বিদ্বেষ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ভারতের পতাকার অবমাননা থেকে শুরু করে জনসমক্ষে মিছিলে ভারত বিরোধী স্লোগন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ‘কলকাতা দখলের’ হুমকিও উড়ে এসেছে ওপার থেকে। এহেন বাংলাদেশের প্রতি নিজেদের দায়িত্ববোধ পালনে ত্রুটি রাখছে না ভারত।
ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশে চলা বিভিন্ন প্রকল্পে ভারত ঋণ দিয়েছে বিগত হাসিনা আমলে। সেই সব প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে সম্প্রতি দিল্লিতে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল এসেছিল বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এই প্রকল্পগুলি নিয়ে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের কথাবার্তা, আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতের সাহায্যে চলা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বিগত দিনে থমকে গিয়েছে। এই আবহে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে, কারণে প্রকল্পগুলোর গতি ব্যাহত হয়েছে। এরই সঙ্গে বহুদিন ধরে চলে আসা বাংলাদেশের ‘স্থানীয় ইস্যুর’ কথাও উল্লেখ করেন রণধীর জয়সওয়াল।
অবশ্য রণধীর জয়ওয়াল বলেন, ‘এসব উন্নয়ন কর্মসূচি ভারতের অগ্রাধিকার। কিন্তু নানা কারণে কাজ ব্যাহত হওয়ায় দুই দেশ এখন ঠিক করেছে, প্রকল্পগুলো যুক্তিযুক্ত করে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। এটা নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকার কতটা আমাদের প্রতিশ্রুতি মতো সমর্থন জানাচ্ছে এর ওপর। তাছাড়া প্রকল্প রূপায়ণে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়ার ওপরও কাজের গতি নির্ভর করবে।’
এর আগে খাদ্যপণ্য আমদানির জন্যে ভারতের বিকল্প খোঁজা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ভারতকে ইলিশ দেবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা। তবে পেট ভরাতে সেই ভারতেরই দিকে হাত বাড়াতে হয় বাংলাদেশকে। এদিকে ডলার সংকটের আবহে ভারতেই ইলিশ পাঠিয়ে নিজেদের পকেট ভরাতে হয় ইউনুসের সরকারকে। এদিকে সম্প্রতি আবার বাংলাদেশকে অর্থসাহায্য বন্ধ করেছে আমেরিকা। এহেন পরিস্থিতিতেই সেই ফের পড়শি দেশের কাছেই আসতে হল বাংলাদেশকে।