‘মি টু’ আন্দোলনের সময় নানা পাটেকর-এর বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্তেরদায়ের করা যৌন হেনস্থার দুটি ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করল আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ৭ মার্চ, শুক্রবার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (আন্ধেরি) এনভি বনশল জানান, অভিযোগের সময়সীমা অতিক্রান্ত। তনুশ্রীর অভিযোগ তাই খারিজ করা হচ্ছে।
এই মামলায় প্রথম FIR দায়ের হয় ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর ওশিওয়ারা থানায় এবং দ্বিতীয় FIR দায়ের হয় পাঁচ দিন পরে। এফআইআরগুলি ২০০৮ সালের মার্চ এবং ২০১০ সালের অক্টোবরে ঘটা দুটি ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। অভিনেত্রী নানা পাটেকর, গণেশ আচার্য, রাকেশ সারাং এবং আবদুল সামি আবদুল গনি সিদ্দিকির বিরুদ্ধে হিন্দি ছবি ‘হর্ন ওকে প্লিজ’-এর সেটে তাঁর শালীনতা ও অপমান করার অভিযোগ এনেছিলেন।
২০১৯-এ মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওশিওয়ারা পুলিশ তথ্য পেশ করে জানায়, তদন্তে কোনও অপরাধমূলক কিছুই পাওয়া যায়নি এবং অভিযোগগুলি মিথ্যা ছিল। এই মামলার তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আইনি ভাষায় যাকে বলে কিনা ‘বি-সামারি’। সেসম অবশ্য তনুশ্রী দত্তও এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা আবেদন করেন।
এরপর শুক্রবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এনভি বনসল প্রথম মামলাটি বন্ধ করে দেন। বলেন যে পুলিশ সময়সীমা অতিক্রম হওয়ায় ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় ২০১৮ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন তনুশ্রী দত্ত। ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) বিধান অনুযায়ী এই অপরাধের সময়সীমা তিন বছর। আর তাই এই মামলা চালিয়ে যাওয়া নিরর্থক। আদালতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, অকারণ এই দীর্ঘসূত্রিতাকে যদি ক্ষমা করে দেওয়া হয় তা হলে আইন লঙ্ঘন করা হবে।
দ্বিতীয় মামলাটি ছিল সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। সেখানেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছুই করা হয়নি। আর তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও অর্থ নেই।