কন্নড় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রানিয়া রাওয়ের(Ranya Rao) সোনা পাচার মামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত একাধিক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। এরই মধ্যে জানা গেল, এই মামলায় তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। খবর অনুযায়ী, তিনি ১০ কিলোর বেশি সোনা উরুতে পেঁচিয়ে নিয়ে ভারতে নিয়ে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল, সেখানে আদালত তাঁর জামিন আবেদনের রায় স্থগিত রেখেছে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছেন রানিয়া।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রানিয়া রাও ডিআরআই তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে তার কাছে মোট ১৭টি সোনার বার ছিল। এছাড়াও তিনি দুবাইসহ ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিও ভ্রমণ করেছেন। বলা হচ্ছে, প্রতিটি ভ্রমণ থেকে তিনি প্রায় ১২ লক্ষ টাকা আয় করতেন। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ১৭.২৯ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডিআরআই আধিকারিকরা জানান, বিমানবন্দরে ৩৪ বছর বয়সী অভিনেত্রীর কাছ থেকে ১২.৫৬ কোটি টাকার সোনার বার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২.০৬ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং মোট ২.৬৭ কোটি টাকার ভারতীয় মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে।
এই অভিনেত্রী নিজের উরুতে টেপ এবং ব্যান্ডেজের সাহায্যে ১৪টি সোনার বার লাগিয়ে এনেছিলেন ভারতে। তা লুকানোর জন্য প্যান্ট পরেছিলেন তিনি। সোনা পাচারের জন্য রানিয়া বিশেষ ভাবে পোশাক তৈরি করাতেন। এমন বেশ কয়েকটি জ্যাকেট বানিয়েছিলেন তিনি, যেগুলিতে সহজেই নজর এড়িয়ে সোনা পাচার করা যায়। এছাড়াও তাঁর কাছে ছিল বিশেষ ভাবে তৈরি রিস্ট বেল্ট। তাতে করেও সোনা পাচার করতেন তিনি।
উল্লেখ্য, ‘মাণিক্য’ (২০১৪) সিনেমাতে কন্নড় সুপারস্টার সুদীপের বিপরীতে অভিনয় করার জন্য পরিচিত রানিয়া রাও। এছাড়া আরও কয়েকটি দক্ষিণী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। যার মধ্যে ১০১৬ সালে তামিল সিনেমা ‘ওয়াঘা’ এবং ২০১৭ সালের কন্নড় সিনেমা ‘পটাকি’ আছে। এদিকে রানিয়া রাও হলেন আইপিএস অফিসার কে রামচন্দ্র রাওয়ের সৎ মেয়ে। রামচন্দ্র বর্তমানে কর্ণাটক স্টেট পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের ডিরেক্টর জেনারেল।