৮ মার্চ থেকে মণিপুরে রাস্তা সচল করার নির্দেশ ছিল কেন্দ্রের তরফে। আর সেই দিনেই কুকি বিক্ষোভে ফের অশান্তির আঁচ ছড়ায় মণিপুরে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে মণিপুরে। সেই শাসনকালের মাঝে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভরত কুকিদের সংঘাত দেখা যায়। সংঘর্ষের জেরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন।
শনিবার মণিপুরে পৃথক পৃথক জায়গায় কুকিদের বিক্ষোভের জেরে হিংসার ছবি উঠে আসে। তার জেরে আহত হন বহু নিরাপত্তাকর্মী। এদিকে, রাস্তা সচলের প্রথম দিনেই এই সংঘাতের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজ্যের নানান প্রান্তি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর আগে, শনিবার সকালে ইম্ফল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় যান চলাচল রুখতে অবরোধে বসেন কুকি জনগোষ্ঠীর কিছু মহিলা। তাঁদের সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ করতে উদ্যত হয় নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরই সংঘর্ষ দেখা যায় এলাকায়।
এদিকে, বিক্ষোভকারীরা পাল্টা বাসে হামলা করতে শুরু করেন। কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। জানা যাচ্ছে তখনই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের বিবৃতি বলছে, বিক্ষোভকারীরা পথচলতি গাড়িতেও আগুন লাগাতে শুরু করেছিলেন। পুলিশের বিবৃতি বলা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ২৭ জন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,’ নিরাপত্তা বাহিনী হিংস্র জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করার সময় অসাধারণ সংযম দেখিয়েছিল এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের গুলি চালানো সহ সমাজবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলা করার জন্য ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করে।’ এদিকে, মণিপুরে নতুন তৈরি হওয়া কুকি জো কাউন্সিলের তরফে রাজ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্পূর্ণ বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।মণিপুরে কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধের ডাক দিয়েছেন কুকি জনগোষ্ঠীর বিক্ষোভকারীরা। কুকি জো কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে শান্তি না ফেরা পর্যন্ত, এবং কুকিদের রাজনৈতিক দাবিদাওয়াগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের রাস্তা সচলের উদ্যোগের বিরোধিতা করে যাবেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ‘বাফার জ়োন’গুলিতে যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য মেইতেদের অবাধ চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।