পাঁচ কোরিয়ান মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ায় বালেশ ধনখড় নামে এক ভারতীয়কে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সাজা ঘোষণার সময় বিচারক এই অপরাধকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করেছেন। জানা যাচ্ছে, এই সব কোরিয়ান মহিলাদের চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে আসতে বলেছিল বালেশ। আর তারপরে খাবারে মাদক মিশিয়ে তাঁদের ধর্ষণ করেছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২১ থেকে ২৭ বছর বয়সি এই সব নির্যাতিতারা ধর্ষণের সময় অজ্ঞান ছিলেন অথবা অসুস্থ ছিলেন। বালেশ সিডনিতে তার বাড়ির কাছে নির্যাতিতাদের মাদকাসক্ত করার আগে ভুয়ো চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। আরও জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত একটি এক্সেল স্প্রেডশিট রেখেছিল। সেখানে জাল চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রত্যেক আবেদনকারীকে চেহারা এবং বুদ্ধিমত্তার উপর ভিত্তি করে ‘রেটিং’ দিত। স্প্রেডশিটে প্রত্যেক নির্যাতিতার সঙ্গে তার কথোপকথন, তাঁদের বিবরণ এবং তাদেঁর দুর্বলতা এবং তার পরিকল্পনার জন্য কে উপযুক্ত তার মূল্যায়নও রেকর্ড করা হত। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতের যৌন তৃপ্তির জন্য ধর্ষণের ভিডিয়ো রেখে দিত অভিযুক্ত।
এই ঘটনায় ২০১৮ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০২৩ সালে একটি আদালত তাকে ৩৯টি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। তার মধ্যে ১৩টি যৌন নির্যাতনের অভিযোগও ছিল।জানা গিয়েছে, ৪৩ বছর বয়সি ওই ভারতীয়কে ৪০ বছরের কারাদণ্ডের মধ্যে ৩০ বছর প্যারোল-বহির্ভূত সাজাও দেওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সাজা ঘোষণার সময় কোনও আবেগ দেখা যায়নি অভিযুক্তের মধ্যে। যদিও, বালেশ মহিলাদের মাদক দেওয়া বা সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে।
আদালতের বিচারক মাইকেল কিং বলেন, যে অপরাধ পূর্বপরিকল্পিত এবং বিস্তারিতভাবে কার্যকর করা হয়েছে। অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে এই কাজ করা হয়েছে। আদালত আরও বলেছে, দুবর্ল মহিলাদের প্রতি এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ধারাবাহিকতার সঙ্গে বজায় রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত বালেশ ভারতীয়-অস্ট্রেলীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানীয় একজন ব্যক্তি ছিল। অস্ট্রেলিয়ার হিন্দু কাউন্সিলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করত।২০০৬ সালে ছাত্র হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর তিনি এবিসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, টয়োটা এবং সিডনি ট্রেনের সঙ্গে ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করেছিল।আদালতের বিচারক মাইকেল কিং বলেন, যে অপরাধ পূর্বপরিকল্পিত এবং বিস্তারিতভাবে কার্যকর করা হয়েছে। অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে এই কাজ করা হয়েছে। আদালত আরও বলেছে, দুবর্ল মহিলাদের প্রতি এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ধারাবাহিকতার সঙ্গে বজায় রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত বালেশ ভারতীয়-অস্ট্রেলীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানীয় একজন ব্যক্তি ছিল। অস্ট্রেলিয়ার হিন্দু কাউন্সিলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করত।২০০৬ সালে ছাত্র হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর তিনি এবিসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, টয়োটা এবং সিডনি ট্রেনের সঙ্গে ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করেছিল।