চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের জন্য আদৌও কি ফিল্ডিং মেডেল দেওয়া হবে? সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন ছিল। কারণ ফাইনালে যথেষ্ট বাজে ফিল্ডিং করেছে ভারত। কমপক্ষে চারটি ক্যাচ ফস্কেছে। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও যে ভারত নিখুঁত ছিল, তা নয়। সেই পরিস্থিতিতে ফাইনালের সেরা ফিল্ডারের মেডেল দেওয়া হলেও জয়ীর নাম বাছতে গিয়ে ভারতের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের যে কালঘাম ছুটবে, সেটা স্পষ্ট ছিল। সেটার ইঙ্গিত মিলল মেডেল সেরিমনিতে। অন্যান্য ম্যাচে সাধারণত নমিনেশন তালিকায় তিনজনের নাম থাকে। ফাইনালে সেই তালিকায় শেষপর্যন্ত দু’জন ঠাঁই পেলেন। আর তাতে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ছাপিয়ে বাজিমাত করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁকে সেরা ফিল্ডারের মেডেল পরিয়ে দিলেন ফিল্ডিং কোচই।
দলের ফিল্ডিং বাজে হয়েছে, কিন্তু জাদেজা জাদেজার মতোই থেকেছেন
আর সেটা দেখার পরে অনেকে বলতে শুরু করেছেন, এরকম ভয়ংকর পরিস্থিতিতে ফিল্ডিং কোচের হাতে যে সেরা বিকল্পের তালিকা থাকে, সেটার একেবারেই উপরের দিকে জাদেজার নাম আছে। সেই ‘রকস্টার’-ই মান বাঁচালেন ফিল্ডিং কোচের। যিনি দলগতভাবে ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে একটা জঘন্য দিনের মধ্যেও বুলেট থ্রো করেছেন। বাঁচিয়েছেন রান। সেই কারণেই জাদেজাকে সেরা ফিল্ডার বেছে নেওয়া হয়েছে।
জাদেজার নামটা ঘোষণা হওয়ার পরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সতীর্থরা। মেডেল পরিয়ে দেওয়ার পরে ফিল্ডিং কোচকে জড়িয়ে ধরেন জাদেজা। বলেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ দিলীপ স্যার।’ সেইসময় হাসতে থাকেন বিরাট কোহলি। জোরে হাততালি দিতে থাকেন বাকিরাও। জাদেজা মুখ দিয়েও আওয়াজ করতে থাকেন। তারপর গলায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জয়ীর পদক এবং ফাইনালের সেরা ফিল্ডার নিয়ে ক্যামেরার দিকে পোজও দেন।
১২ বছর পরে ফের ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ICC ট্রফি জয়
যদিও ফাইনালে কে সেরা ফিল্ডার হচ্ছেন, সেটা নিয়ে রবিবার ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্ভবত ভারতীয় ফ্যানদের খুব বেশি মাথাব্যথা ছিল না। তাঁরা একটাই জিনিস চাইছিলেন, সেটা হল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যে কাজটা করে দেখিয়েছেন রোহিত, বিরাট, জাদেজারা। জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
আর তার ফলে ২০১৩ সালের পরে ফের ৫০ ওভারের ক্রিকেটে কোনও আইসিসি ট্রফি জিতল ভারত। ২০১৩ সালেও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। তারপর থেকে ১১ বছর কোনও আইসিসি ট্রফি ঢোকেনি ভারতের ক্যাবিনেটে। যে খরাটা ২০২৪ সালে কেটে যায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারতীয় দল। আর নয় মাসের মধ্যে আরও একটা আইসিসি ট্রফি জিতে নিল।