কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করা ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী গ্রেফতার

Spread the love

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফিলিস্তিনি স্নাতক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা। ওই শিক্ষার্থী গাজা যুদ্ধ নিয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরাইলবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  

স্টুডেন্ট ওয়ার্কার্স অব কলম্বিয়া শ্রমিক ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানায়, ওই শিক্ষার্থীর নাম মাহমুদ খলিল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ছাত্র। তাকে শনিবার সন্ধ্যায় তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবন থেকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রেফতার করেন।


প্রতিবেদন অনুসারে, তার স্ত্রী একজন মার্কিন নাগরিক। যিনি আট মাসের গর্ভবতী। মাহমুদ খলিলের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের গ্রিন কার্ড রয়েছে বলেও ইউনিয়ন জানিয়েছে।

এদিকে নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো খলিলের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।


শনিবার তাকে গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা আগে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের প্রতি ট্রাম্পের সমালোচনা সম্পর্কে খলিল বলেন, তিনি উদ্বিগ্ন যে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার জন্য সরকার তাকে টার্গেট করতে পারে।


রোববার সোশ্যাল মিডিয়ায় খলিলের গ্রেফতার হওয়ার একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি মন্তব্য করেন, ‌‌আমরা যুক্তরাষ্ট্রে হামাস সমর্থকদের ভিসা অথবা গ্রিন কার্ড বাতিল করব যাতে তাদের ফেরত পাঠানো যায়। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি এবং রুবিওর মুখপাত্ররা প্রশ্নের উত্তর দেননি।

অন্যদিকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছে যে, খলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে কারণ তিনি হামাসের সাথে সম্পর্কিত কার্যকলাপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। 

খলিলের গ্রেফতারের বিষয়টি রিপাবলিকান ট্রাম্পের প্রথম প্রচেষ্টার একটি, যিনি জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় ফেরেন। ফিলিস্তিনিপন্থি প্রতিবাদ আন্দোলনে জড়িত বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি হিসেবে। যাকে তিনি ইহুদিবিদ্বেষী বলে অভিহিত করেছেন। 

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামাসের আক্রমণের পর গাজায় ইসরাইল অভিযান শুরু করে। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ফিলিস্তিনিপন্থি এবং ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় যা যুক্তরাষ্ট্র এবং বিদেশের কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *