ইলন মাস্কের(Elon Mask) টেসলার(Tesla) শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় ১৫ শতাংশ কমে যায় সোমবার। ট্রাম্পের নীতিতে হতভম্ব বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজার থেকে নিজেদের বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন। এই শেয়ার বিক্রির হিড়িকের জেরে পতন জারি আছে মার্কিন শেয়ার বাজারে। আর ট্রাম্পের সরকারের নীতির সঙ্গে অনেকাংশেই জড়িয়ে ইলন মাস্ক নিজে। এই সবের মাঝে মাস্কের সংস্থার শেয়ারের দাম পড়ছে হু হু করে। ২০২০ সালের পরে টেসলার শেয়ার একদিনে এতটা পড়েনি।
২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর টেসলার শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৪৭৯ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। বর্তমানে সেই সর্বোচ্চ রেটের থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ নীচে নেমে গিয়েছে মাস্কের সংস্থার শেয়ারের দাম। এদিকে মাস্কের নিজের নেট ওয়ার্থও কমেছে হু হু করে। এই বছরে এখনও পর্যন্ত এই ধনকুবেরের নেট ওয়ার্থ কমেছে প্রায় ১৪০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। যদিও এখনও তিনিই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি। তবে তাঁর সংস্থার হাল ততটাও ভালো নেই। এমনিতেই চিনে টেসলাকে কড়া টক্কর দিচ্ছে চিনের সংস্থা বিওয়াইডি। এদিকে ভারতের মুম্বইতে টেসলা নিজেদের প্রথম শোরুম খোলার পথে হেঁটেছে। যদিও তা নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন ট্রাম্প নিজে।
এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কোভিডকালে টেসলার শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় কমে গিয়েছিল ২১ শতাংশ। আৎ ১০ মার্চ মাস্কের সংস্থার শেয়ারের দাম কমে ১৫.৪ শতাংশ। গত ১ মাসে টেসলার শেয়ারের দাম কমেছে ৩৬.৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বরে যেখানে টেসলার বাজার দর ছিল ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার, সেখানে মাস্কের সংস্থার বর্তমান বাজার দর ৬৯৬ বিলিয়ন ডলার। গতকালকে মার্কিন শেয়ার বাজার বন্ধের সময় টেসলার শেয়ারের দাম ছিল ২২২.১৫ ডলার। গতকাল ৪০.৫২ টাকা দাম কমেছিল টেসলার।
তবে এই পতনের পরও বিনিয়োগকারীদের ইলন মাস্ক আশ্বস্ত করেছেন, দীর্ঘমেয়াদে সংস্থার শেয়ার দর স্থিতিশীল থাকবে। তবে তাঁর কথায় বিনিয়োগকারীদের মন গলছে না। কারণ টেসলার গাড়ি বিক্রি কমে গিয়েছে। গত কোয়ার্টারে টেসলা নাকি মাত্র ৪ লাখ ৬৭ হাজার গাড়ি ডেলিভার করেছে। এদিকে জার্মানিতে ইলন মাস্ক নিজে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন নির্বাচনের সময়। এই আবহে টেসলার রেজিস্ট্রেশন কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ। সব কিছু মিলিয়ে টেসলা এবং মাস্কের সময়টা বেশ কঠিন চলছে।