Sayanta-Kiran। কিরণের গায়ে হাত তুলতেন? ব্রেকআপ নিয়ে জলঘোলা

Spread the love

সম্পর্ক ভেঙেছে সায়ন্ত মোদক আর কিরণ মজুমদারের। আর তা নিয়েই ইউটিউবে ভিডিয়ো করে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সায়ন্ত ভিডিয়ো বার্তায় জানান ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ নাকি তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার নেপথ্যে। অন্যদিকে কিরণের দাবি মানসিক অত্যাচার, অসম্মান, হঠাৎ করে যোগাযোগ বন্ধের মতো একাধিক জিনিস।  

গত বছরের জুন মাস থেকে কিরণের সঙ্গে নানা ভিডিয়ো পোস্ট করতে শুরু করেন সায়ন্ত। সেই ভিডিয়ো মারফতই জানা যায় তাঁরা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। দর্শকদের মাঝে সবটা ঠিকই লাগছিল আপাতদৃষ্টিতে দেখে। কিন্তু তারপরই শুরু হয় এই কান্ড। বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা। আর তারপর শুরু হয় একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি। 

সায়ন্তর পক্ষ থেকেই প্রথম ভিডিয়ো আসে। সেখানে অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘দুর্গাপুজো থেকে সমস্যা শুরু। তোমরা কেউই বুঝতে পারোনি সেভাবে। যদিও মাঝে একজন তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়ে তোমরা অনেকেই সাবধান করেছিলে আমাকে। আমি চুপ ছিলাম। অনেকেই ভাবে ৩টে সম্পর্ক ভেঙেছে, নিশ্চয়ই ছেলেটার কোনো দোষ আছে…’ 

আর সায়ন্তর এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর কিরণ ভিডিয়ো বানিয়ে অভিনেতার কথার তীব্র প্রতিবাদ জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনেন একাধিক অভিযোগ। কান্না ভেজা গলায় বিধ্বস্ত চেহারায় কিরণ ভিডিয়োয় জানান, আচমকাই যোগাযোগ বন্ধ করেন সায়ন্ত। এমনকী, একাধিকবার নিজের বন্ধুদের সামনে, তাঁকে অসম্মান করার অভিযোগও তোলেন। শুধু তাই নয়, কিরণের কিছু কথা থেকে, সন্দেহ জাগে, তাঁর গায়ে ‘হাত তুলেছেন’ সায়ন্ত। শুধু তাই নয় অভিনেতার প্রাক্তন দেবচন্দ্রিমার কাছেও ক্ষমা চান কিরণ। 

তাঁর সেই ভিডিয়োয় দেবচন্দ্রিমা মন্তব্য করেন, ‘জানো তো কিরণ মানে কী… আমি তোমাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, তবে তোমার পুরো ভিডিয়োটা দেখলাম। আর আমি যেন কোথাও কিরণ মজুমদারকে দেখতেই পেলাম না, বরং ২০২১ সালের দেবচন্দ্রিমাকে দেখলাম। আমি দুঃখিত, এই ভিডিয়োটা আমারই তখন করা উচিত ছিল। কথায় বলে না পাপ বাপকেও ছাড়ে না তবে এখানে শুধু বাপকে না, মাকেও যেন না ছাড়ে। তোমার ওপরও কি ও হাত তুলেছে? যদি জবাবে ‘হ্যাঁ’ বলো, তাহলে এইবার ওকে আমি শেষ করে দেব। আমাকে তোমার ফোন নম্বরটা দাও। চিন্তা করো না বোন তোমার বড়দিদি এখন কলকাতাতেই আছে।’ দেখা যায়, দেবচন্দ্রিমার সেই কমেন্টে লাইক করেছেন কিরণ।  

কিন্তু সত্যি কি তাঁর প্রাক্তনদের গায়ে হাত তুলতেন সায়ন্ত? এবার এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমকে তিনি বললেন, ‘তিন বার প্রেমের কথা জানিয়েছি, তিন বার বিচ্ছেদের কথাও। খুব স্বাভাবিক, লোকে আমার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলবে। তা বলে মোটেও মারধর করিনি যে এ ভাবে আমার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করা হবে।’ 

কিন্তু শুধু সায়ন্তর দিকে নয়, অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রাক্তন প্রেমিকার দিকে! তবে অভিনেতার মতে, ‘তা একেবারেই কাম্য নয়।’ তিনি জানান, মতের মিল হচ্ছিল না বলেই তাঁরা আলাদা হয়েছেন। মতের মিল থাকলে বিচ্ছেদের প্রশ্নই উঠত না।  

কিন্তু ৩ বার তাঁর সম্পর্ক ভেঙ্গেছে। সায়ন্ত মোদকের দিকে বার বারই উঠেছে অভিযোগের আঙুল কেবল কিরণ বা দেবচন্দ্রিমা নন, এর আগে দিদি নম্বর ১-এ এসে ‘অসুস্থ প্রেম’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তাঁর আর এক প্রাক্তন প্রিয়াঙ্কা মিত্রও। এই প্রসঙ্গে অভিনেতার মত, ‘এ কথা অনেকেই বলছেন। তাঁদের পরামর্শ, বার বার প্রেম ভাঙলে মনের উপরে চাপ এবং ছাপ— দুটোই পড়ে। আমারও মানুষকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ঠিক করেছি, প্রেম-সম্পর্ক থেকে দূরেই থাকব। আরও বেশি করে মন দেব কাজে। তাতে যদি শান্তি পাই।’ তিনি আরও জানান যে, এই বিষয় নিয়ে কিরণের সঙ্গেও কথা বলবেন। যাতে বিচ্ছেদও মধুর হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *