এপিক ইস্যুতে আজও উত্তাল সংসদ। গতকাল এই ইস্যুতে লোকসভার প্রথমার্ধ্বে সরব হয়েছিলেন সৌগত রায়(Sougata Roy)। পরে দ্বিতীয়ার্ধ্বে অধিবেশন চলাকালীনই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। এর জেরে তাঁকে ভর্তি করা হয় নিকটবর্তী রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউ-তে একাধিক শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে সাংসদের। সেখানে তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তবে আজ ফের সংসদে হাজির হন সৌগত রায়। বার্তাসংস্থা এএনআই-কে তিনি এপিক ইস্যুতে বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে কংগ্রেসও এপিক সংক্রান্ত এই ইস্যুটি তুলেছে। ভোটার তালিকায় গুরুতর সমস্যা আছে। এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা উচিত।’
এদিকে এপিক নিয়ে সংসদে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই রাজ্যসভায় প্রতিবাদ শুরু করেন তৃণমূল এবং বিজেডি সাংসদরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরও বিরোধী সাংসদরা। এরপর অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে আসেন তৃণমূলে সাংসদরা। তাঁদের অনুসরণ করে বিজেডিও ওয়াকআউট করে। অধিবেশন কক্ষে থাকা বিরোধী সাংসদরা এই ইস্যতে সুর চড়াতে থাকেন।
আরজি কর কাণ্ডের আবহে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া সুখেন্দুশেখর এপিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন। অধিবেশনকক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম কীভাবে থাকে? এটাই আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম। কমিশন আমাদের কথা মেনেও নিয়েছে। তারা আমাদের জানিয়েছে যে বিষয়টি তিনমাসের মধ্যে সংশোধন করা হবে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হল, এমন ভোটারের সংখ্যা ঠিক কত? তা জানাতে হবে। তাই আমরা সংসদে আলোচনার দাবি করেছিলাম। কিন্তু মাননীয় ডেপুটি চেয়ারম্যান সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।
তাই আমরা ওয়াকআউট করে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের বক্তব্য হল, অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে জেতার জন্য ভোটার তালিকায় এরকম কারচুপি করছে কেন্দ্রের সরকার। আসলে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে তারা কুক্ষিগত করতে চাইছে। আর এভাবে ভারতের যে গণতান্ত্রিক কাঠামো আছে, তা ভেঙেচুরে দিচ্ছে। তবে আমরা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং নির্দেশে সংসদে এবং বাইরে জনমত গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাব।’ এর আগে গতকাল সৌগত রায় বার্তাসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছিলেন, এপিক ইস্যুতে নিজেদের বক্তব্য জানাতে নির্বাচন কমিশনে যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
এদিকে লোকসভা আজ উত্তাল হয় ডিএমকে সাংসদদের প্রতিবাদে। উল্লেখ্য, হিন্দি চাপানোর অভিযোগ তুলে জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে আসছে ডিএমকে। এই নিয়ে তামিলদের ‘অপমান’ করে কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের কথা অবশ্য ‘ফিরিয়ে নিয়েছিলেন’। তবে ধর্মেন্দ্র প্রধানের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিতে সরব হয়েছে ডিএমকে। সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে লোকসভা ত্যাগ করেন তৃণমূল সাংসদরাও।