Sheikh Hasina lost property। বাংলাদেশে স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি হারালেন শেখ হাসিনা

Spread the love

টানা প্রায় দেড় দশক ধরে যিনি বাংলাদেশে(Bangladesh) সরকার চালিয়েছেন, যাঁর বাবা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেই শেখ হাসিনার(Sheikh Hasina) আর প্রায় কোনও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিই আর বাংলাদেশে থাকল না। কারণ, সেই সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত।

তবে, শুধুমাত্র হাসিনা(Sheikh Hasina) নন, তাঁর সন্তান-সহ নিকট আত্মীয়দের মধ্যে অধিকাংশেরই সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশি(Bangladesh) সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত যেসমস্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুসারে – শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina) ও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছিল। এই মামলা দায়ের করেছিল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই মামলাতেই আদালতের তরফে হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে অন্তত ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। যাঁদের নামে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে, সেই তালিকায় শেখ হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন – তাঁর বোন রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে পুতুল এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী(Tulip Siddiqui)।

শোনা যাচ্ছে, শুধুমাত্র রেহানার নামেই নাকি ১২৪টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট রয়েছে। সেগুলো বন্ধ করা হবে। অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে।

অন্যদিকে, রেহানার(Rehana) মেয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন। সেই পদ তাঁকে ইতিমধ্যেই হারাতে হয়েছে। এবার বাংলাদেশের গুলশন এলাকায় তাঁর যে সম্পত্তি ছিল, তাও বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। ধানমুন্ডিতে অবস্থিত সুধা সদনও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এদিকে, ইতিমধ্যেই হাসিনার(Sheikh Hasina) নামে থাকা ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলিতে লেনদেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই অবস্থা হাসিনার ছেলের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিরও। এছাড়াও, হাসিনার নেতৃত্বাধীন দল ‘আওয়ামী লিগ’ এবং শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্টের নামেও সমস্ত আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তার পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানের জেরে গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। সেই পালাবদলের পর বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষ কার্যত তাণ্ডব শুরু করে। একদিকে দেশজুড়ে বিচ্ছন্নতাবাদী, চরমপন্থী ও কট্টর নেতাদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। অন্যদিকে, কেয়ারটেকার সরকার মুজিবের সমস্ত স্মৃতি মুছে ফেলতে তৎপর হয়। আর, এবার হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সমস্ত সম্পদও (বাংলাদেশে থাকা) কার্যত কেড়ে নেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা করা হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *