Balochistan Train Hijack। বিস্ফোরক থাকা বিদ্রোহীদের নিশানা স্নাইপারদের

Spread the love

দেড় দিনের টানপোড়েনের পরে বালোচিস্তানে বিদ্রোহীদের কব্জায় থাকা ট্রেনের পণবন্দীদের উদ্ধার করেছে পাকিস্তান(Pakistan) সেনা(Army)। এরপরেই বৃহস্পতিবার জাফর এক্সপ্রসের আহত পণবন্দী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দেখা করতে বালোচিস্তানে পৌঁছেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ(Shehbaj Sharif)। পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইসহাক দার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার, পরিকল্পনা, উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী নওয়াবজাদা মীর খালিদ মাগসি-সহ অন্যান্য নেতারা।

অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হিসাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেছেন, ‘সময় হিসাব করে খুব সন্তর্পণে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায় শেষ হয়। সকল পণবন্দীকে মুক্ত করা হয়। যেহেতু যাত্রীদের মানবঢাল করা হয়েছিল, আমরা সহজে এগোতে পারছিলাম না। যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের সবসময়ে মাথায় রাখতে হচ্ছিল। তাই পুরো অভিযান সম্পন্ন করতে এত সময় লেগেছে। আমরা সাবধানে প্রতিটি পদক্ষেপ করেছি। স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আফগানিস্তানে তাদের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখছিল।’ 

এরপরেই স্নাইপার বাহিনীর সাফল্যের কথা জানান শরিফ। জাফর এক্সপ্রেস থেকে একে একে যাত্রীদের বার করে ট্রেনের সামনে দাঁড় করানো হয়েছিল। পরিচয়পত্র ধরে ধরে বেশ কয়েক জনকে হত্যা করা হয়। বাকিদের এক জায়গায় জড়ো করে তাঁদের সঙ্গেই দাঁড় করানো হয় বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেট পরা বিদ্রোহীদের। এই বিদ্রোহীরা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে মিশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের চিহ্নিত করা কঠিন ছিল। দূর থেকে স্নাইপার বাহিনী বেছে বেছে এই বিদ্রোহীদের নিশানা করে। তাঁদের শরীরের এমন অং‌শে গুলি করা হয়, যেখানে বিস্ফোরক নেই। শরিফ জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনাতেই সাফল্য এসেছে। অভিযানের সময়ে কোনও যাত্রীর গায়ে আঁচ লাগেনি।

এদিকে, বালোচিস্তানে ট্রেন অপহরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ অভিযোগ করেন, বালোচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ ও পণবন্দী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে। বিশেষ ভাবে তাঁর নিশানায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। পাকিস্তান সরকারের দাবি, মঙ্গলবার সকালে বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস বালোচ বিদ্রোহীরা কব্জায় আনার সময় তাতে ৪৪০ জন সওয়ারি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সেনা বা সরকারের তরফে উদ্ধার করা যাত্রীদের সংখ্যা জানানো হয়নি। একইভাবে বিতর্ক রয়েছে হতাহতের সংখ্যা নিয়েও। পাক সেনার দাবি, তারা ৩৩ জন বিদ্রোহীকে খতম করেছে। নিহত হয়েছেন ২১ জন রেলযাত্রী এবং আধাসেনা বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কোরের চার জন জওয়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *