নির্বাচনী বিতর্কে খারাপ করায় উপদেষ্টাদের দুষলো বাইডেনের পরিবার

Spread the love

নির্বাচনী বিতর্কে ‘হতাশাজনক’ পারফরম্যান্সের পর বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে বাইডেনের পাশে আছে তার পরিবার। নির্বাচন থেকে সরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তারা বাইডেনের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তার উপদেষ্টাদের দুষছেন।

ক্যাম্প ডেভিডে বাইডেনের সঙ্গে জড়ো হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। যেখানে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বিতর্কে খারাপ করার কারণে চাপে থাকার কয়েকদিন পর এই আলোচনায় বসলেন তারা।

এদিকে মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এমন একটি ইভেন্টের জন্য কীভাবে তাকে প্রস্তুত করা হয়েছিল, সে বিষয়ে তার স্টাফদের ভূমিকা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন দলের সিনিয়র নেতা ও পৃষ্ঠপোষকরা।উপদেষ্টারা তাকে বিতর্কের জন্য যেভাবে প্রস্তুত করেছেন, বাইডেনের আত্মীয়রাও তার সমালোচনা করেন।


ফ্লোরিডা-ভিত্তিক অ্যাটর্নি এবং বাইডেনের প্রধান তহবিল সংগ্রহকারী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, তাকে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। তিনিও অতিরিক্ত অনুশীলন করেছিলেন।’

বাইডেনের পারফরম্যান্সের একজন সমালোচকারী বলেন, সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হয় এমন দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুতি নেয়া উচিত ছিল তার। 

গেল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে বিতর্ক চলাকালীন, কর্কশ ভাষায় বাইডেন একটি নড়বড়ে পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন। বার বার কথার মাঝে থেমে যাচ্ছিলেন, এমনকি বাক্য শেষ করতেও পারছিলেন না। সেই সুযোগে তার প্রতিপক্ষ, ডোনাল্ড ট্রাম্প, ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এমন দাবিসহ একাধিক মিথ্যাচার করেন। যা বাইডেন খন্ডন করতে ব্যর্থ হন।


দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ক্যাম্প ডেভিডে বৈঠকের সময় বাইডেনের স্ত্রী, সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা বলেন, ‘এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। বাইডেন আমেরিকান জনগণকে দেখিয়ে দিতে পারেন যে, তিনি আবারও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে যোগ্য।’


যদিও তার পরিবার জানে বাইডেন কতটা খারাপ পারফরম্যান্স করেছিল; তারপরও তারা মনে করে, ট্রাম্পকে হারাতে বাইডেনই একমাত্র সক্ষম ব্যক্তি।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস রিপোর্ট করেছে, বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ঠেকাতে সবচেয়ে জোরালো কণ্ঠস্বর ছিল তার স্ত্রী জিল এবং তার ছেলে হান্টারের। হান্টার বাইডেন গত মাসে একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের সন্তান হিসেবে এই প্রথম গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন। ২০১৮ সালে আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচার সময় মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় দোষী সাব্যস্ত হন হান্টার বাইডেন।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *