US expels South African ambassador। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল আমেরিকা

Spread the love

ওয়াশিংটনে(Washington) নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নিয়ে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওর অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত না আমেরিকা(America) এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump) উভয়কেই ঘৃণা করেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ মার্কো রুবিও এই নিয়ে লেখেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার(Africa) রাষ্ট্রদূতকে আমাদের মহান দেশে আর স্বাগত জানানো হবে না। ইব্রাহিম রাসুল একজন বর্ণবাদী রাজনীতিবিদ যিনি আমেরিকাকে ঘৃণা করেন এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতিকেও ঘৃণা করেন। তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা করার কিছু নেই, তাই তাকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এই আবহে সেই দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হল। যা কি না মার্কিন ইতিহাসে খুব বিরল ঘটনা। এদিকে বহিষ্কার হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার দূত রাসুল বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘকাল। গাজায় যুদ্ধের জন্য ইজরায়েলি সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যে মার্কিন মদত বন্ধ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় এমন আইন আছে যাতে শ্বেতাঙ্গদের থেকে জমি কেড়ে নেওয়ার বিধান আছে। সেই আইনের পরিপ্রেক্ষিতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাহায্য করা বন্ধ করেছিলেন ট্রাম্প। এরপর সম্প্রতি সেই একই আইনের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প দাবি করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষকরা চাইলে আমেরিকায় বসবাস করতে পারেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের দ্রুত মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়েও আশ্বাস দেন ট্রাম্প(Trump)। 

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্কের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। তিনি সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামফোসার বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিযোগ করেছিলেন, খুলে আম বর্ণবাদী মালিকানা আইন প্রণয়ন করেছে তাঁর সরকার। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় জমির মালিকানা একটি বিতর্কিত বিষয়। বর্ণবাদের অবসানের তিন দশক পরেও বেশিরভাগ কৃষিজমি এখনও শ্বেতাঙ্গদের মালিকানাধীন এবং সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের চাপের মধ্যে রয়েছে। এদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলনের সময় রামাফোসা বলেছিলেন, জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পরপরই তাঁর সঙ্গে ‘চমৎকার’ ফোনালাপ হয়েছে। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সম্পর্ক ‘কিছুটা এগিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন রামফোসা। তবে সম্প্রতি ফের আমেরিকার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *