ভালোবাসা(Love) লিঙ্গ(Sex), ধর্ম(Religion), জাত পাত দিয়ে হয় না তা আমরা সকলেই জানি। পাশাপাশি ভালোবাসা কিন্তু লম্বা ,খাঁটোও বোঝে না। ভালোবাসা হল অন্তরের টান, অন্তরের অনুভূতি। কবে কখন কাকে কিভাবে ভালোবেসে ফেলা যাবে তা কেউ জানে না! ঠিক তেমনই তমোজ্যোতি মুখার্জী(Tomojyoti Mukherjee) ও সুস্মিতা বিশ্বাসের(Susmita Biswas) লাভ স্টোরি(Love Story)।
স্বামী ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি, স্ত্রী ৫ ফুট। অর্থাৎ বৌ স্বাভাবিক, আর বর বামন। হ্যাঁ এই জুটিই আজ ভালোবাসার দৃষ্টান্ত উদাহরণ। শুরুটা প্রায় ১০ বছর আগে হয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত আলাপ হয় তমোজ্যোতি ও সুস্মিতার। প্রথমে শুরু হয় বন্ধুত্ব দিয়ে, আর সেই বন্ধুত্ব যে কখন ভালোবাসায় পরিণত হল তা প্রথমে নিজেরা বুঝতে পারেননি। দীর্ঘ ৬ বছর চুটিয়ে প্রেম করেন তমোজ্যোতি ও সুস্মিতা। তারপর বাড়িতে জানানো,কিছুটা বাধা আসলেও পরে সবটা মেনে নেয় দুজনের বাড়ির সদস্যরা। তবে প্রতিবেশী, আত্মীয় ,সমাজের হাসি ঠাট্টার শিকার হতে হয় তমোজ্যোতি মুখার্জীকে, এমনকি তাদের বিয়ের পর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় নানা কটূক্তি ও নেভেটিভ কমেন্টের শিকার হোন তারা, অন্যদিকে বহু নেটিজেনরা তাদের ভালোবাসার বাহবা জানায়, সাথে ভালোবাসা যে স্বাভাবিক, বামন, লিঙ্গ দেখে হয় না, তাও তারা কমেন্টে লেখেন।
ভালোবাসার দিনে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন প্রেমিকযুগল।দীর্ঘ ৪ বছর ধরে চুটিয়ে সংসার করছেন তারা। ভালোবাসায় ভরা সংসারে আদর, যত্ন, খুনসুটি, ঝগড়া লেগেই থাকে। যতই যা হোক, একে অপরকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারেন না তারা।
বিয়ের পর বিভিন্ন জায়গায় তারা একসাথে ঘুরতেও যান, সেখানে গিয়ে তারা একে অপরের সাথে সময় কাটান, সেলফি, ছবি সবই তোলেন। সাথে ভালোবাসার মানুষটির যাতে কোনও কষ্ট না হয় তার জন্য স্বামীর সমস্ত কাজ নিজে করে দেন সুস্মিতা।সুস্মিতা বিশ্বাস একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, আর তমোজ্যোতি মুখার্জী একজন ব্যবসায়ী।
তমোজ্যোতি জানান, এখনও পর্যন্ত তাকে নানা ধরনের কটূক্তি শুনতে হয়, যেমন জোকার থেকে অনেক কিছু। এমনকি কোথাও তারা গেলে কিছু মানুষ তাকে দেখে নানা ধরনের টোন টিপ্পনী কাটে, পাশাপাশি তার অনেক ভালো অভিজ্ঞতাও রয়েছে। কলকাতা কিংবা কলকাতার বাইরে বেরোলে বহু মানুষ তাকে ঘিরে সেলফি তোলেন, আর তমোজ্যোতি মুখার্জী বেশ খোজমেজাজে তাদের সাথে নিজস্বী তুলতে রাজিও হোন।
ভালোবাসা থাকলে কোনও বাধাই যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না তা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে চলেছেন এই দম্পতি। তমোজ্যোতি বাবু ও তার স্ত্রী সুস্মিতা দেবীর ভালোবাসা ঠিক এমনভাবেই অটুট থাকুক, আগামীদিনে তাদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।সবাই যেন তার ভালোবাসার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঠিক এইভাবেই বেঁচে থাকতো পারে এই কামনাই রইল ইনিউজবাংলার তরফ থেকে।