Murshidabad। ‘শুভেন্দুর গাড়ি রেজিনগর ক্রশ করতে দেব না’

Spread the love

একদিকে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির আর অপরদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তরজা একেবারে জমে উঠেছে। এবার শুভেন্দুকে রেজিনগরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। এবার তার পালটা দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজেপির জেলা নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েেছেন, আমরা শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) নিয়ে রেজিনগর, বেলডাঙার রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসব। কার্যত হুমায়ুন কবিরের চ্যালেঞ্জকে মেনে নিয়ে পালটা সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

এদিকে ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবিরকে(Humayun Kabir) তাঁর আগের একটি মন্তব্য নিয়ে শোকজ করেছে দল। দলের থেকে জাতিসত্ত্বা আগে মূলত এই মন্তব্যের জেরেই তাঁকে শোকজ করে দল। তবে তা নিয়ে একেবারেই টেনশনে নেই হুমায়ুন। এখনও তিনি তাঁর অবস্থানে অনড়।

হুমায়ুন কবির সংবাদমাধ্যমে বলেন, ১১ তারিখে শুভেন্দুর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমি কিছু কথা বলেছিলাম। ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম। মুসলিম বিধায়কদের টার্গেট করে যে কথা বলেছেন তার থেকে সরে আসুন। ৭২ ঘণ্টার মধ্য়ে যদি আপনি সরে আসেন তাহলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তিনি ১২ তারিখে আবার বলেন, ২৬শে ক্ষমতায় এলে দেখাব। আমাদের জাতিগত ভাবে অ্যাটাক করা হয়েছে। আমার কাছে দল আগে নয়। আমার কাছে আগে জাতিরসত্ত্বা।

দল যদি আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তবে কি বলবেন? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নেও খোলামেলা জবাব হুমায়ুনের।

তিনি বলেন, দল যদি ব্যবস্থা নেয় তবে আপনারাও জানতে পারবেন। আমাকেও নিশ্চিত জানাবেন। তখন উত্তর দেব তার আগে নয়।

মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে না দেওয়ার যে চ্যালেঞ্জ হুমায়ুন ছুঁড়েছেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনও অনড়, ভবিষ্যতেও অনড় থাকব। এক্ষেত্রে আমি তৃণমূলের বিধায়ক হিসাবে সহকারি বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে কথা বলছি না। মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষ, আমজনতা, মুসলিম সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে সেই সম্প্রদায়কে যাচ্ছেতাইভাবে অসম্মান করেছেন, আহত করেছেন, জাতিগতভাবে, মুসলিম হওয়ার জন্য তিনি আক্রমণ করবেন আর মুর্শিদাবাদের মাটিতে তিনি বিচরণ করবেন, ঘুরে বেড়াবেন এটা হতে দেব না। সেটা করতে গিয়ে যদি জীবন চলে যায় তবে যাবে, তবে শুভেন্দুর গাড়ি রেজিনগর ক্রশ করতে দেব না। একেবারে খোলা চ্যালেঞ্জ হুমায়ুন কবীরের।

তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি যদি জীবিত থাকি তবে তাকে কী করব সেটা সময়ই বলবে আর শুভেন্দু অধিকারীকে রেজিনগরের এনএইচ ৩৪ দিয়ে বেলডাঙার উপর দিয়ে বহরমপুর হয়ে পৌঁছতে দেব না। আমার কত শক্তি আছে আমি বিগত দিনে দেখিয়েছি। আমার রেকর্ড আমি ভাঙব। আমি ২০১৪ সালে অধীর চৌধুরীকে একবার রাস্তায় চার ঘণ্টা আটকে রেখেছিলাম।

প্রসঙ্গত তৃণমূলে থাকাকালীন এই মুর্শিদাবাদেরই পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। সেই সময় অধীরকে চাপে রাখতে তৃণমূলের অন্যতম কারিগর ছিলেন শুভেন্দু নিজেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *