দোলের দিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বীরভূমের(Birbhum) সাঁইথিয়া(Saithia)। তার জেরে এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। সেই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত। এরই মাঝে জানা গিয়েছে, হোলির দিনের সংঘর্ষে উভয় পক্ষেরই একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। এদিকে হিংসার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ২১ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এদিকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ নং ধারা অনুযায়ী সাঁইথিয়ায় এখনও বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। গোটা এলাকা জুড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। প্রশাসন কড়া নজরদারি চালাচ্ছে যাতে নতুন করে কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটতে পারে।
এদিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, সাঁইথিয়ায় খবরের কাগজে কোনও বিধিনিষেধ নেই। ফোন বা এসএমএস-এর ক্ষেত্রেও কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। তবে গুজব ছড়ানো এবং অবৈধ কার্যকলাপ রোধেই ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ আইন ২০২৩-এর অধীনে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই মতো ১৭ মার্চ সকাল ৮টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া পুরসভার সাঁইথিয়ার কয়েকটি এলাকায় আগামী কয়েক দিনের জন্য বেআইনি কার্যকলাপের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এদিকে এখন আর সংঘাতের পরিবেশ না থাকলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকায়।
মূলত দোলের দিন পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে বীরভূমের একাধিক এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কারণে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তার ফলে এলাকাগুলিতে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সাঁইথিয়ার পাশাপাশি নানুরের কিরনাহার পুলিশ স্টেশন এলাকাতেও নাকি দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বেঁধেছিল। যদিও সেই সংঘাতে কেউ গুরুতর ভাবে জখম হননি বলেই দাবি করা হয়েছে। সেখানেও এলাকায় বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। নতুন করে যাতে কোনও রকমের সংঘাত না দেখা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর থাকছে স্থানীয় প্রশাসন। কোনও ভুয়ো খবর ছড়িয়ে যাতে উত্তেজনা তৈরি না করা হয়, তাও নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রশাসনের তৎপরতায় এখন সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে দাবি করা হচ্ছে।