বিএসএফ কর্তারা এবার হাজির সুন্দরবনে

Spread the love

বাংলাদেশের পরিস্থিতি অশান্ত থাকার ফলে সেখানের নাগরিকরা এখন নিরাপদ আশ্রয় চাইছেন। আর তার ফলে কাঁটাতার পেরিয়ে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ঢুকে পড়ছেন। কিন্তু এটা তো পথ নয়। শুধু তাই নয়, অন্য দেশে এসে ছদ্মবেশে ঘাপটি মেরে থাকা মোটেই কাজের কথা নয়। এমনকী পদ্মাপারের জঙ্গিরা এপারে ঢুকে পড়েছিল। যা ধরাও পড়ে যায়। এখান থেকেই সীমান্ত নিয়ে চিন্তা শুরু হয়। বারবার ভারতে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশিরা। তাই বিএসএফের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ নজরদারিতে খামতি না থাকলে কখনও ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে ফসল কেটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সীমান্ত কাঁটাতার বসাতে বিএসএফকে বাধা দিচ্ছে বিজিবি। এই আবহে সুন্দরবন সীমান্তে থাকা জওয়ানদের সঙ্গে হোলি উৎসবে যোগ দিতে আসেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী। তিনি দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সুন্দরবন এলাকা পরিদর্শন করেন। বিএসএফের উচ্চপদস্থ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকও করেন ডিজি। সেখানে উঠে আসে সীমান্ত নিরাপত্তার কথা। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি অভিযোগ করেন, বিএসএফ সঠিকভাবে কাজ করছে না। তাই অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা ঘটছে। আর বাংলাদেশিদের ধরছে রাজ্য পুলিশ। ব্যর্থ বিএসএফ। তাই এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বিএসএফের ডিজি দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অপারেশনাল প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেন। আর বিএসএফ পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অতিরিক্ত ডিজি রবি গান্ধী, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ইন্সপেক্টর জেনারেল করণী সিং শেখাওয়াত–সহ অন্যান্য কর্তারা সুন্দরবন সফরে ডিজির সঙ্গে ছিলেন। রাজারহাটে বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন বিএসএফের ডিজি। সেখানে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে নানা কথা উঠে আসে। আর এই অনুপ্রবেশ নিয়ে তাঁরাও যে চিন্তিত সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে জরুরি পরিস্থিতিতে অভিযানের জন্য বিএসএফ প্রস্তুত বলে ডিজিকে জানানো হয়।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং সীমান্তে অপরাধ কড়া হাতে দমন করতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি বলে সূত্রের খবর। সদা সতর্ক থাকার নির্দেশও দেন দলজিৎ সিং চৌধুরী। অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে সীমান্তে অপরাধ নিরসন করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী কৌশলের উপর বেশি জোর দেন তিনি। বিএসএফের ডিজি। জওয়ানদের প্রশংসা করলেও নিরাপত্তায় এবং দেশের সুরক্ষায় যেন কোনও খামতি না থাকে সেদিকে বাড়তি জোর দিতে বলেছেন। ফলে সীমান্তে আরও কড়া নজর রাখা হবে এখন থেকে বলে সূত্রের খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *