বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই জঙ্গি হামলা হোক না কেন, তার সঙ্গে ঠিক কোনও না কোনওভাবে পাকিস্তানের যোগসূত্র মিলবেই। এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে কোনওরকম কুণ্ঠাবোধ না করে মোদী একেবারে সরাসরি বলেন, ‘বিশ্বের যেখানেই জঙ্গি হামলা হোক না কেন, কোনও না কোনওভাবে পাকিস্তানের যোগসূত্র পাওয়া যাবে। আমেরিকায় এত বড় ৯/১১ হামলার ঘটনা ঘটল। ওই হামলার যে মূলচক্রী (ওসামা বিন লাদেন) ছিল, শেষপর্যন্ত তার হদিশ কোথায় মিলল? পাকিস্তানেই বসেছিল। দুনিয়া জেনে গিয়েছে যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী প্রবৃত্তি, সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা তৈরি হয়ে আছে। আর শুধু ভারত নয়, পুরো বিশ্বের কাছেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে (পাকিস্তান)। আমরা বারবার বলে এসেছি যে এই পথে হেঁটে কার ভালো হবে? আপনারা সন্ত্রাসবাদের রাস্তা তো ছেড়ে দিন। রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদে ইতি টানতে হবে।’
প্রতিবার জুটেছে বিশ্বাসঘাতকতা, হতাশ মোদী
মোদী দাবি করেন, সন্ত্রাসবাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে এনে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই জুটেছে বিশ্বাসঘাতকতা। তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার যে মহৎ প্রচেষ্টা করা হয়েছে, প্রতিবারই তার জবাব শত্রুতা এবং বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করব যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে (পাকিস্তানের) এবং ওরা শান্তির পথ বেছে নেবে।’
শুভ সূচনা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জুটেছে হতাশা, বললেন মোদী
আর শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিজে কতটা চেষ্টা করেছিলেন, তাও জানিয়েছেন মোদী। ওই পডকাস্টে তিনি বলেন, ‘শান্তি স্থাপনের জন্য আমি নিজে লাহোরে চলে গিয়েছিলাম। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যাতে একটা শুভ সূচনা হয়। কিন্তু প্রতিবার ভালো প্রয়াসের ফল হয়েছে নেতিবাচক।’
সেইসঙ্গে মোদী বলেন, ‘আমার মতে, ওখানকার মানুষও হতাশ হবেন যে (ওঁদের ওরকমভাবে জীবনযাপন করতে হচ্ছে)। এরকম মারধর, সন্ত্রাসবাদ চান না। যুব সম্প্রদায়ের যারা জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে, তাদের মৃত্যু হচ্ছে। জীবন তছনছ হয়ে যাচ্ছে।’
নিজের বৈদেশিক নীতির প্রশংসায় মোদী
সেই রেশ ধরেই নিজের আমলের বৈদেশিক নীতির প্রশংসা করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘যে লোকেরা একটা সময় বৈদেশিক নীতির প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁরা পুরো চমকে গিয়েছিলেন, যখন তাঁরা জানতে পেরেছিলেন যে আমি সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত (যে গোষ্ঠীতে আছে পাকিস্তানও) সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’