দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গ সাক্ষাৎ করেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন। এদিকে, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদাার মুখ খোলেন। তিনি জানান, এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় খলিস্তান ইস্যু উঠে এসেছে। খলিস্তান ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় দিল্লি কী জানিয়েছে?
বিদেশমন্ত্রকের তরফে জয়দীপ মজুমদার বলেন,’ খলিস্তান ইস্যুটি উঠে আসে (আলোচনায়), আমরা আমাদের বন্ধুদের সতর্ক(অ্যালার্ট) করি তাদের দেশে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে।’ খলিস্তান সম্পর্ক বলতে গিয়ে দিল্লির তরফে জয়দীপ মজুমদার বলেন,’ বাক স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার অপব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদকে উজ্জ্বল করা এবং আমাদের কূটনীতিবিদ, আমাদের সংসদ, বা ভারতের নানান অনুষ্ঠানে হামলার হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করি। ফলে এগুলো সম্পর্কে জানানো হয়। নিউজিল্যান্ড সরকার এগুলি গ্রহণ করেছে এবং অতীতেও আমাদের উদ্বেগগুলিকে বিবেচনায় নিয়েছে।’ উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন দিল্লিতে এদিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তাঁরা সন্ত্রাস নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সেই ঘটনার খানিক পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বক্তব্য রাখা হয়।
দুই রাষ্ট্রনেতা তাঁদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মুখ খুলে বলেন, ‘ সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে আমাদের একই মতামত। ১৫ মার্চ, ২০১৯ তারিখে ক্রাইস্ট চার্চে সন্ত্রাসী হামলা হোক বা ২৬/১১ মুম্বাই, সন্ত্রাসবাদ যেকোনোভাবেই তা অগ্রহণযোগ্য।’ তিনি বলেন,’সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আমরা সন্ত্রাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করব।’ উল্লেখ্য দুউ দেশের সম্পর্কের গভীরতাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে দুই দেশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক তাবড় চুক্তিতে আবদ্ধ হয়।