ভারতে নাকি সংখ্যালঘু মুসলিমদের(Muslim) ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এই অভিযোগ এনে বাংলাদেশি(Bangladesh) তৌহিদি জনতা ১৭ মার্চ ঢাকায় একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। সেখানে তারা ভারত পর্যন্ত লং মার্চের হুঁশিয়ারি দেয় তৌহিদি জনতার নেতা। এমনকী ভারতের মুসলিমদের বাংলদেশে নিয়ে নিতে চেয়েছেন তৌহিদি নেতারা।
বাংলাদেশের খবরের চ্যানেল ‘সময় টিভি’তে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশি ‘তৌহিদি মুসলিম জনতা’র এক কট্টরপন্থী ছাত্রনেতা বলছেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীরা দেশের প্রত্যেকটা মন্দির পাহারা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখছি ভারত মুসলিম বিদ্বেষী। ভারতের ঐতিহ্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে থুতু জানাই। যদি ভারত বলে তাদের দেশে মুসলিমদের স্থান নেই, তাহলে আমরা বাংলাদেশে তাদের জায়গা করে দেব।’
এরপর অপর এক কট্টরপন্থী নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত যদি মুসলিমদের ওপর নির্যাতন করে, তাহলে গোটা বিশ্বের মুসলিম ভারতের বিরুদ্ধে একত্রিত হবে। ভারতে আজ মুসলিমদের মসজিদে নমাজ পড়ার অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। মোদী যদি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট না করেন, তাহলে বাংলাদেশি তৌহিদি জনতা ভারত পর্যন্ত লং মার্চের ঘোষণ করবে।’ এরপর আরও এক নেতা এসে বলতে শুরু করেন, ‘ভারতে মুসলিম ভাইদের হত্যা করা হচ্ছে এবং আটক করে রাখা হচ্ছে। আমা অবিলম্বে সেই সব মুসলিম ভাইদের মুক্তি কামনা করছি। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, আপনারা ভারতের হাইকমান্ডারকে (হাইকমিশনার) ডেকে কঠিন হুঁশিয়ারি দিন।’
উল্লেখ্য, একদিন আগে এই তৌহিদি জনতাই বাংলাদেশে এক মাজারে আগুন ধরিয়ে তাণ্ডব চালায়। বরগুনার আমতলী ৩নং ওয়ার্ডের ইসমাইল শাহ মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় এই কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনের সদস্যরা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। বরগুনার সেই হিংসার ঘটনায় ২০ জন জখম হয়েছেন। এই আবহে বাংলদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মাজার ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা লক্ষ করছি, মাজার ভাঙার নামে একটা নৈরাজ্য চলছে। সবার উদ্দেশে সতর্ক করে দিয়ে সরকার বলতে চায়, মাজার ভাঙার ব্যাপার আর কোনোভাবে সহ্য করা হবে না।