PUBG Lover Seema Haider Child Birth। সচিনের সন্তানের মা হলেন ‘পাক বৌদি’ সীমা

Spread the love

পঞ্চমবারের মতো মা হয়েছেন ‘পাকিস্তানি বৌদি’ নামে পরিচিত সীমা হায়দার। এই সন্তান সীমা ও সচিন মীনার। ১৮ মার্চ ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ গ্রেটার নয়ডার একটি হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন সীমা হায়দার। উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে চার সন্তানকে নিয়ে দুবাই ও নেপাল হয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসেন সীমা। তবে তিনি এখনও ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। অনলাইন পাবজি গেম খেলার সময় সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সীমার। এর পরে দুজনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং সীমা তাঁর বাচ্চাদের নিয়ে সচিনকে সাথে থাকতে আসেন এই দেশে।

এই আবহে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন সীমা ও সচিন। ভিডিওতে সীমা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়। দুজনকেই খুব খুশি দেখাচ্ছিল সেই ভিডিয়োতে। তাতে সীমা হায়দার প্রেগন্যান্সি কিট দেখিয়ে সচিনকে বাবা হওয়ার সুখবর দিচ্ছিলেন। এরপরই সীমাকে জড়িয়ে ধরেন সচিন। সীমা তখন জানিয়েছিলেন যে তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শিগগিরই তাদের ঘর আলো করে এক সন্তান আসবে। এই আবহে আজ সচিন ও সীমার এক মেয়ে হয়। তার নাম রাখা হয়েছে ‘লক্ষ্মী’। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৩ মে চার সন্তানকে নিয়ে অবৈধভাবে ভারতে এসেছিলেন সীমা হায়দার। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে ২০২৩ সালের ৪ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিকে সীমাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সচিন মীনাকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর তিনদিন পর, ৭ জুলাই স্থানীয় আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে। সীমা পুলিশকে জানিয়েছিল, হিন্দু রীতি মেনে নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে বিয়ে হয় তাঁর ও সচিনের। সীমা ও সচিন, দু’জনই দাবি করেন, ‘গদর’ সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাঁরা।

জামিন পাওয়ার পর গৌতম বুদ্ধ নগরে হিন্দু রীতি মেনে ফের বিয়ে করেছিলেন সীমা ও সচিন। এরপর থেকে তাঁরা দুজন রাবুপুরায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছেন। সীমা-সচিনের গল্প ভারত-পাকিস্তান-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। সীমা ভিডিয়োর মাধ্যমে ভক্তদের নিজেদের জীবনের আপডেট দিতে থাকেন। সীমার আইনজীবী বিক্রম সিং বলেন, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির নিষ্পত্তি করা উচিত।

এদিকে সীমার বড় ছেলে ফারহান আলি এখন রাজ এবং তাঁর মেয়ে ফারভা, ফারিহা বাতুল এবং ফারহার বর্তমান নাম যথাক্রমে প্রিয়াঙ্কা, মুন্নি এবং পরী। তাঁর প্রথম স্বামী গুলাম হায়দার পাকিস্তানে থাকেন। এদিকে এর আগে এসটিএফের জেরায় সীমা স্বীকার করে নেন, তাঁর এক ভাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। সীমার প্রথম পক্ষের স্বামী গুলাম হায়দারও এর আগে দাবি করেছিলেন, সীমার ভাই আসিফ ও তাঁর কাকা গুলাম আকবর পাক সেনাতে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *