ফুরফুরা শরিফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ইফতার পার্টি ‘সফল হয়নি’ বলে দাবি করলেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি(Twaha Siddiqui)। ইফতারির পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন ত্বহা। তিনি বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীরে ইফতার সেটা সফল হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী জানলেন যে সফল হয়েছে। আমরা জানি এটা সফল হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, যাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাঁরা সবাই পীরজাদা। আসলে তা নয়। আমি গিয়েছিলাম। একটি খাম দিয়ে এসেছি। তাতে সব লেখা আছে।’
বিপক্ষ গোষ্ঠীকে তোপ দেগে ত্বহা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্ধকারে রাখল। বলেছিল ৮০ জন পীরজাদা পীর সাহেব যাবেন। কুড়ির বেশি যায়নি। ২৮ জন বয়স্ক পীরজাদা ছিলেন। কিন্তু তাঁরা যাননি। যারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতেন তারা ওখানে গিয়েছিলেন। এই সব পীরযাজাদাদের বাড়ির ভিতরে পর্যন্ত উন্নয়ন করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করেন। আজ পিছনে আসন খালি ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ছোক ফাঁকি দিতে পরে প্রশাসনের লোকজনকে দিয়ে সেখানে আসন ভরানো হয়েছিল।’
এদিকে জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। মুখ্যমন্ত্রীকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে দাবি করেন এই পীরজাদা। তাঁর কথায়, ‘বিধায়ককে দেখা পাওয়া যায় না। যখন আসেন পাউডার মেখে আসেন। নিজেকে দাম্ভিক মনে করেন। আমাদের কপাল ভালো এরকম একটা এমএলএ পেয়েছি আমরা। উনি ১৪ বছরে ১৪ হাজার টাকা খরচ করতে পারেননি। চ্যালেঞ্জ করছি আমি পশ্চিমবঙ্গের চাণক্য মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন। ত্বহা সিদ্দিকী কী জিনিস, স্নেহাশিস কী জিনিস উনি সব জানেন। তাঁকে স্যালুট।’
এরপর ইফতার পার্টি নিয়ে ত্বহা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাঁরা গালিগালাজ করেছেন, তাঁরাই ওই ইফতার মজলিসে থাকবেন। সেই কারণেই আমার যেতে ঘেন্না করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। আশীর্বাদ ও দোয়া করি। তিনি বাংলায় যে উন্নয়ন করছেন তার জন্য ধন্যবাদ। তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমার দাবি থাকবে, ২০২৬ সালে যারা প্রার্থী হবে তাদের যেন মন মানসিকতা ভালো থাকে। তাঁরা যেন মানুষ হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা যে হিন্দু-মুসলিম হতে হবে সেরকম কোনও ব্যাপার নেই। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি ১০০ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী দিতে হবে। ফুরফুরায় উন্নয়ন বলতে যতটা দরকার ততটা না হলেও উন্নয়ন হয়েছে। আমি শুধু ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন চাই না বাংলার উন্নয়ন চাই।’